টিকা যাবে স্কুলে

এবার করোনাভাইরাসের টিকা যাবে প্রতিটি স্কুলে। শিক্ষার্থীদের আর অন্য স্কুলে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না।
টিকা নেওয়ার জন্য ধানমন্ডির কাকলী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে লাইনে অপেক্ষা করছে শিক্ষার্থীরা। ছবিটি গত মঙ্গলবার তোলা হয়েছে। ছবি: প্রবীর দাশ

এবার করোনাভাইরাসের টিকা যাবে প্রতিটি স্কুলে। শিক্ষার্থীদের আর অন্য স্কুলে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, খুব শিগগির নিজ স্কুল থেকেই ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা করোনার টিকা নিতে পারবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গতকাল দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে স্কুলগুলোর তালিকা পাঠালে স্বাস্থ্য কর্মীরা প্রতিটি স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের টিকা দেবেন।

তিনি জানান, টিকাদান প্রক্রিয়া সহজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং ৭ দিনের মধ্যে নতুন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

জাহিদ মালেক বলেন, 'আমরা আগামীকাল (আজ) থেকে স্কুলে টিকা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তালিকা পাঠাতে হবে।'

বর্তমানে, সরকার ঢাকার ৮টি স্কুলে টিকা কেন্দ্রে করেছে। স্কুলের শিক্ষার্থী ও আশেপাশের অধিবাসীদের এই কেন্দ্রগুলোতে ফাইজার-বায়োএনটেক টিকা দেওয়া হচ্ছে।

স্কুলগুলো হলো- মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বসুন্ধরার হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, মালিবাগের সাউথপয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, গুলশানের চিটাগাং গ্রামার স্কুল, মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজ, ধানমন্ডির কাকলী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উত্তরার সাউথ ব্রিজ স্কুল এবং মিরপুরের স্কলাস্টিকা স্কুল।

সরকার ১ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৪০ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু দীর্ঘ লাইন, টিকা কেন্দ্রে অব্যবস্থাপনা ও নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় একাধিক অসুবিধার কারণে সরকারের এই উদ্যোগ সফল হয়নি।

মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, স্কুলে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত পুরো টিকাদান প্রক্রিয়া খুব ভালোভাবেই চলছিল।

'কিন্তু স্কুলে টিকাদান শুরু করার পর বেশ কিছু ত্রুটি দেখা দিয়েছে। আমরা যদি স্কুলে স্কুলে গিয়ে টিকা প্রয়োগ করি তাহলে শিক্ষার্থীদের আর দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভোগান্তি পোহাতে হবে না,' তিনি যোগ করেন।

যোগাযোগ করা হলে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, 'আমরা নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কুলিং সুবিধা আছে এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি এমন স্কুলে টিকা দেওয়া হবে। আমরা শিগগির তা শুরু করব।'

মাউশির তথ্য অনুসারে, ঢাকার স্কুলগুলোতে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৪ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীর একটি তালিকা টিকা নিবন্ধনের জন্য আইসিটি বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

তাদের মধ্যে প্রায় আড়াই লাখের নিবন্ধন হয়েছে। ঢাকার স্কুলগুলোতে ১২-১৭ বছর বয়সী প্রায় সাড়ে ৬ লাখ শিক্ষার্থী আছে।

প্রতিবেদনটি অনুবাদ করেছেন সুমন আলী

 

Comments

The Daily Star  | English

Will anyone take responsibility for traffic deaths?

The Eid festivities in April marked a grim milestone with a record number of road traffic accidents and casualties.

9h ago