ফাইনালে টসই হয়ে উঠবে নির্ণায়ক?

ছবি: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ টুইটার

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টস রেখেছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের কন্ডিশনের কারণে পরে ব্যাট করা দল পাচ্ছে বাড়তি সুবিধা। তাই টস জিতলে বিনা দ্বিধায় বোলিং বেছে নিচ্ছেন অধিনায়করা। বলাই বাহুল্য, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ফাইনালেও টসের ফল নির্ণায়ক হয়ে ওঠার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। এটাকে অন্যায্য বলে মনে হচ্ছে পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরামের। তবে নিউজিল্যান্ডের সাবেক তারকা ড্যানিয়েল ভেট্টোরি টস ও কন্ডিশন নিয়ে জানিয়েছেন ভিন্ন ভাবনা।

আরব আমিরাতে বছরের এই সময়ে রাতের বেলায় প্রচুর শিশির পড়ে। ফলে পরে ব্যাটিং করা সহজ হয়ে যায়, বোলিং করা হয়ে পড়ে দুরূহ। বল ভালোভাবে ব্যাটে আসায় ব্যাটাররা অনায়াসে খেলতে পারেন।

ফাইনালের ভেন্যু দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসের ম্যাচের ফল নির্ণায়ক হয়ে ওঠার বিষয়টি আরও স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। সেখানে সুপার টুয়েলভ থেকে সেমিফাইনাল পর্যন্ত হওয়া ১২ ম্যাচের ১১টিতেই জিতেছে পরে ব্যাট করা দল।

সেই ধারাবাহিকতায় রোববারের ফাইনালে টস ও কন্ডিশন প্রভাব রাখবে বলে মনে করছেন ওয়াসিম। কিন্তু তিনি এটা মানতে পারছেন না। ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আহ্বান জানিয়েছেন বিকল্প পন্থা খুঁজে বের করার।

'এটা আসলে অন্যায্য (ম্যাচের ফলে টস ও শিশিরের প্রভাব রাখা)। (ম্যাচ অফিসিয়ালদের) কোনো একটা পরিকল্পনা খুঁজে বের করে আনা উচিত। স্টেডিয়াম ঢেকে দেওয়া সম্ভব না হলেও দুই দলকেই যতটা সম্ভব সমান সুযোগ দেওয়া উচিত।'

'টস অবশ্যই প্রভাব রাখবে ফাইনালে। কিন্তু এটা কাম্য নয়। এই বিশ্বকাপে দেখা গেছে, টস জিতলেই ৮০-৯০ ভাগ সময় ম্যাচ জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। রান তাড়া করা দলের জন্য এটা বাড়তি সুযোগ তৈরি করে। কিন্তু এটা অন্যায্য।'

ভেট্টোরি অবশ্য টস জিতলে পাওয়া অতিরিক্ত সুবিধার ওপর সব নজর দিতে নারাজ। তার মতে, মাঠে যারা ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং মিলিয়ে ভালো ক্রিকেট উপহার দিবে, তাদের হাতেই উঠবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আকাঙ্ক্ষিত শিরোপা।

'দুই দল নিজেদের মতো করে একত্রিত হবে এবং এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করবে যে, টস বা কন্ডিশন যা-ই হোক না কেন যে দল ভালো ক্রিকেট খেলবে তারাই জিতবে। দুই দলকে এই মন্ত্র নিয়েই মাঠে নামতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Technical education hit by teacher shortage

Technical education hit by teacher shortage, falling enrolment

Bangladesh’s technical education sector is facing a slow-burning crisis, shaped by a severe shortage of teachers, poor infrastructure, and steadily declining student interest.

12h ago