শ্রীমঙ্গলে গারোদের নবান্ন উৎসব ‘ওয়ানগালা’

গারো জাতিগোষ্ঠীর বিশ্বাস, ‘মিশি সালজং’ বা শস্যদেবতার ওপর ভরসা রাখলে ফসলের ভালো ফলন হয়। এই দেবতাকে নতুন ফসলের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এবং নতুন ফসল খাওয়ার অনুমতি চেয়ে তারা পালন করে ওয়ানগালা (নবান্ন) উৎসব।
ছবি: মিন্টু দেশোয়ারা/স্টার

গারো জাতিগোষ্ঠীর বিশ্বাস, 'মিশি সালজং' বা শস্যদেবতার ওপর ভরসা রাখলে ফসলের ভালো ফলন হয়। এই দেবতাকে নতুন ফসলের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এবং নতুন ফসল খাওয়ার অনুমতি চেয়ে তারা পালন করে ওয়ানগালা (নবান্ন) উৎসব।

ছবি: মিন্টু দেশোয়ারা/স্টার

এবার এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য ছিল—আগামী বছরে যেন ফসল ভালো হয়। তাদের সন্তান ও পরিবার-পরিজনরা যেন ভালো থাকে। আর দেশের জন্য মঙ্গল কামনায় করা হয়।

ছবি: মিন্টু দেশোয়ারা/স্টার

শ্রীচুক গারো যুব সংগঠনের সভাপতি পার্থ হাজং দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সিলেট বিভাগে বসবাসরত গারো সম্প্রদায়ের লোকেরা গতকাল রোববার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ফুলছড়া ফুটবল খেলার মাঠে সারা দিন পূজা-অর্চনা করে নেচে-গেয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক উৎসব ওয়ানগালা উদযাপন করেছেন।'

ছবি: মিন্টু দেশোয়ারা/স্টার

তিনি জানান, 'মিশি সালজং' বা শস্যদেবতার পূজা পৌরোহিত্য করেন জনসন মৃ খামাল।

শ্রীচুক আচিক আসং নকমা এসোসিয়েশনে সভাপতি ক্ষিতীশ আরেং ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সকালে দেবতার উদ্দেশে ফসল উৎসর্গ ও পূজার মাধ্যমে উৎসব শুরু হয়। "ওয়ানচি থক্কা", "রুগালা", "শশত সাত্তার", "আমুয়া"র মতো গারোদের আদি ধর্মীয় আচার পালন করা হয়। পরে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।'

দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী জুম নাচ, নিজ ভাষায় গান ও গারো নাচ পরিবেশন করেন শিল্পীরা। 'ওয়ানগালা' আয়োজন করে শ্রীচুক আচিক আসং নকমা এসোসিয়েশন ও শ্রীচুক গারো যুব সংগঠন।

উৎসবের আলোচনা পর্বে সিলেট ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গোমেজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh Bank has to provide info that people have right to know: Arafat

Bangladesh Bank will have to provide all information that public has a right to know, State Minister for Information and Broadcasting, Mohammad Ali Arafat, said today

1h ago