সাক্ষ্য আইনের দুটি ধারা বাতিলে উদ্যোগ জানতে চেয়েছেন আদালত

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

ধর্ষণ মামলায় বিচারপ্রার্থীর চরিত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করে সাক্ষ্য আইনের এমন দুটি ধারা বাতিলে সরকার কী উদ্যোগ নিয়েছে তা জানতে চেয়েছেন আদালত।

আগামী বছরের ৪ জানুয়ারির মধ্যে সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২ এর ১৫৫(৪) এবং ১৪৬(৩) ধারা বাতিলে সরকারি উদ্যোগের বিষয়ে আদালত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন।

সাক্ষ্য আইনের ১৫৫(৪) এবং ১৪৬(৩) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ৩টি মানবাধিকার সংস্থার করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিকুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। 

গত ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং নারী পক্ষ হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদন করে।

এদিন আদালত আগামী বছরের ৪ জানুয়ারি রিট আবেদনের শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।

সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ (৪) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যখন বলাৎকার বা শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে ফোজদারিতে সোপর্দ হন, তখন দেখানো যেতে পারে যে অভিযোগকারী সাধারণভাবে দুশ্চরিত্রের অধিকারী।

অন্যদিকে ১৪৬ (৩) ধারায় বলা হয়েছে, চরিত্রের প্রতি আঘাত করে তার বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করা যায়, যদিও তার প্রশ্নের উত্তরের দ্বারা তিনি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অপরাধের সঙ্গে জড়িত হতে পারেন, তিনি দণ্ড লাভের যোগ্য সাব্যস্ত হতে পারেন কিংবা প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে তার দণ্ড লাভের যোগ্য সাব্যস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন আদালতকে জানান, সরকার ইতোমধ্যে ১৫৫(৪) ধারা বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে একটি খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে।

আবেদনের পক্ষের আইনজীবী সারা হোসেন শুনানিতে বলেন, সাক্ষ্য আইনের এই দুটি ধারার কারণে বিচারপ্রার্থী হয়রানি এবং বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এই দুটি ধারা আমাদের সংবিধানের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। অভিভাবক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগ বৈধতার প্রশ্ন তুলতে পারেন।

এ সময় ১৫৫(৪) ধারা বাতিলে সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Divisions widen over July Charter’s status, implementation

Major political parties are divided over the July Charter’s implementation timeline

11h ago