প্রশ্নফাঁসে অভিযুক্ত বুয়েট অধ্যাপক নিখিলকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি

অধ্যাপক নিখিল রঞ্জন ধর

রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচটি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় অধ্যাপক নিখিল রঞ্জন ধরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কর্তৃপক্ষ। তাকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার দ্য ডেইলি স্টারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। তিনি বলেন, জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের নিয়ে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তদন্ত করবে। কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

'মূলধারার গণমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ওঠায় তাকে বিভাগীয় সভাপতির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনো দায়িত্বও পালন করতে পারবেন না,' যোগ করেন তিনি।

পাঁচ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার একজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে অধ্যাপক নিখিল রঞ্জন ধরের নাম আসে।

গত বুধবার আহছানাউল্লা ইউনিভার্সিটির অফিস সহায়ক দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ঢাকায় একটি আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। গত ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ওই পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্বে ছিল আহছানউল্লা ইউনিভার্সিটি।

দেলোয়ার তার জবানবন্দিতে জানায়, আহছানউল্লা ইউনিভার্সিটির অ্যাডজাঙ্কট ফ্যাকাল্টি অধ্যাপক নিখিল প্রশ্ন প্রণয়ন ও ছাপানোর দায়িত্বে ছিলেন। প্রশ্নপত্র ছাপানোর পর ওই অধ্যাপক দুই সেট প্রশ্নপত্র সঙ্গে করে নিয়ে যেতেন।

দেলোয়ার বলেন যে তিনি নিজেও কখনো কখনো অধ্যাপক নিখিলের ব্যাগে প্রশ্নপত্র দিতেন।

প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর পরীক্ষাটি বাতিল করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার সিলেকশন কমিটি। এ ঘটনায় আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মচারীসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

Comments

The Daily Star  | English

Lottery to decide SP, OC postings during election: Home Adviser

Move aims to prevent candidates from getting preferred officers in their constituencies

1h ago