ম্যারাডোনার মৃত্যু এখনও অবিশ্বাস্য মনে হয় মেসির

ঠিক এক বছর আগে এই দিনে ভূমিকম্পের মতো খবরটা ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা বিশ্বে। ফুটবল কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনা আর নেই। সময় যেন থমকে গিয়েছিল। পুরো বিশ্বের প্রায় সব ফুটবল ভক্তদের হৃদয়ে যে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও ম্যারাডোনার মৃত্যুর ঘটনা রীতিমতো অবিশ্বাস্য মনে হয় লিওনেল মেসির কাছে।

ঠিক এক বছর আগে এই দিনে ভূমিকম্পের মতো খবরটা ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা বিশ্বে। ফুটবল কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনা আর নেই। সময় যেন থমকে গিয়েছিল। পুরো বিশ্বের প্রায় সব ফুটবল ভক্তদের হৃদয়ে যে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও ম্যারাডোনার মৃত্যুর ঘটনা রীতিমতো অবিশ্বাস্য মনে হয় লিওনেল মেসির কাছে।

২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর চিড় বিদায় নেন ম্যারাডোনা। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৬০ বছর বয়সে নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন এ ফুটবল জাদুকর। কিন্তু এখনও ভক্তদের হৃদয়ে রয়ে গেছেন তিনি। তেমনি রয়ে গেছেন তারই উত্তরসূরি মেসির হৃদয়ে। এখনও যেন বিশ্বাস হয় না তার।

অথচ গত এক বছরে অনেক কিছুই বদলে গেছে। মেসি এখন আর বার্সেলোনার খেলোয়াড় নন। ঘুচেছে আন্তর্জাতিক শিরোপা জয়ের আক্ষেপও। কিন্তু একটা চিড় সত্য আর বদলায়নি। যা বদলানো সম্ভবও না। কিংবদন্তি ম্যারাডোনা আর নেই। কিন্তু মেসির কাছে মনে হয় এ যেন গতকালের ঘটনা।

জীবদ্দশায় অনেকবার বলেছেন মেসির হাত ধরেই ফের কোপা আমেরিকা জিতবে আর্জেন্টিনা। তার কথা ঠিক হয়েছে। কিন্তু এ কিংবদন্তি তা আর দেখে যেতে পারলেন কই। তাই তো কোপা জয়ের পর ম্যারাডোনাকেই শিরোপা উৎসর্গ করেছিলেন মেসি, 'এটা (শিরোপা) অবশ্য দিয়াগোর জন্যও, তিনি যেখানেই থাকুন না কেন আমাদের সমর্থন দিয়েছেন।'

আগের দিন স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারেও ম্যারাডোনার স্মৃতিচারণ করেন মেসি, '(ম্যারাডোনার মৃত্যু) মনে হচ্ছে গতকালের মতো, একটা অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে আমার। এটা অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে যে ইতোমধ্যে এক বছরও কেটে গেছে এবং এখানে তাকে ছাড়াই আর্জেন্টিনা এত বছর পর আবারও (কোপা আমেরিকার) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।'

ম্যারাডোনার সঙ্গে ক্যারিয়ারে কিছু সময় কাটাতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন মেসি, 'আপনি সবসময় মনে করেন যে, কোনো না কোনো সময়ে, আপনি তাকে আবার টিভিতে, একটি সাক্ষাৎকারে বা কোনো বিষয়ে তার মতামত দিতে দেখতে পাবেন। কিন্তু তিনি মারা গেছেন অনেক দিন হয়ে গেল এবং এটি গতকালের মতো মনে হচ্ছে। আমি সবসময় আমাদের সেরা স্মৃতিগুলি মনে রাখব, যেগুলো পেয়ে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি।'

Comments

The Daily Star  | English

Will anyone take responsibility for traffic deaths?

The Eid festivities in April marked a grim milestone with a record number of road traffic accidents and casualties.

9h ago