বিস্ময়কর কিছু করা হলো না উইন্ডিজের, শ্রীলঙ্কার বড় জয়

হাতে ৪ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দরকার ছিল ২৯৬ রান। সেই সমীকরণের দিকে না ছুটলেও দিন পার করে দিতে পারলে মিলত ড্র। পরিস্থিতি বিচারে দুটোই ছিল ভীষণ কঠিন। ক্যারিবিয়ানদের করে দেখাতে হতো বিস্ময়কর কিছু। সেটা হয়নি। এনক্রুমা বোনার ও জশুয়া ডা সিলভা লড়াই চালিয়ে পারলেন কেবল ম্যাচের দৈর্ঘ্য বাড়াতে। উইন্ডিজকে গুঁড়িয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র দুর্দান্তভাবে শুরু করল শ্রীলঙ্কা।

বৃহস্পতিবার গল টেস্টের পঞ্চম দিনে ১৮৭ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছে স্বাগতিকরা। দুই ম্যাচের সিরিজে তারা এগিয়ে গেছে ১-০ ব্যবধানে। ৩৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় উইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ১৬০ রানে। আগের দিনের ৬ উইকেটে ৫২ রান নিয়ে খেলতে নেমেছিল তারা।

সহায়ক উইকেট পেয়ে পুরো টেস্টে সফরকারী ব্যাটারদের উপর ছড়িয়ে ঘোরান লঙ্কান স্পিনাররা। ২০ উইকেটের ১৯টিই যায় লাসিথ এম্বুলদেনিয়া, রমেশ মেন্ডিস, প্রভিন জয়াবিক্রমা ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভাদের ঝুলিতে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৬ রানে ৫ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল বাঁহাতি স্পিনার এম্বুলদেনিয়া। অফ স্পিনার রমেশ ৪ উইকেট পান ৬৪ রানে।

দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮ রানে ৬ উইকেট হারানো উইন্ডিজের হয়ে প্রতিরোধ গড়েছিলেন বোনার ও জশুয়া। এদিনও তারা মাটি কামড়ে উইকেটে পড়ে থেকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে। তবে মধ্যাহ্ন বিরতির আগে বিচ্ছিন্ন হন তারা। এম্বুলদেনিয়ার বলে প্রথম স্লিপে ধনঞ্জয়ার হাতে ধরা পড়েন জশুয়া। এতে ভাঙে ২৬৯ বলে ১০০ রানের সপ্তম উইকেট জুটি। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জশুয়ার ব্যাট থেকে আসে ১২৯ বলে ৫৪ রান।

দ্বিতীয় সেশনে প্রতিপক্ষের বাকি ৩ উইকেট তুলে জয় নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কা। ৩১ রানের অষ্টম উইকেট জুটির পর রাকিম কর্নওয়াল বিদায় নেন। ৪৬ বলে ১৩ রান করে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তিনি লং-অফে জয়াবিক্রমার বলে ক্যাচ দেন সুরঙ্গা লাকমলকে। এরপর জোমেল ওয়ারিক্যান ও শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে সাজঘরে পাঠিয়ে ৫ উইকেট পূরণ করেন এম্বুলদেনিয়া। তিনে নামা বোনার ২২০ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত থাকেন।

ম্যাচসেরার পুরস্কার পান লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। প্রথম ইনিংসে ১৪৭ রানের ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি খেলেন ১০৪ বলে ৮৩ রানের মারমুখী ইনিংস।