চট্টগ্রামে গ্যালারিতে পাকিস্তানের সমর্থন নেই

ছবি: একুশ তাপাদার

বাংলাদেশে খেলতে এসে নিজেদের বেশ কিছু সমর্থক দেখে চমকে গিয়েছিল পাকিস্তান দল। টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওপেনার ফখর জামান বলেছিলেন, তার মনে হচ্ছে তারা পাকিস্তানেই আছেন। কিন্তু মিরপুর ছেড়ে চট্টগ্রামে এসে ভিন্ন চিত্র পেল পাকিস্তান দল। পুরো গ্যালারিতে পাকিস্তানের কোন সমর্থন নেই। উলটো পাকিস্তান বিরোধী স্লোগান হলো সমস্বরে।

চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৫ হাজার দর্শককে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সকালে সংখ্যাটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়তে থাকে দর্শক। পূর্ব গ্যালারির পুরোটাই হয়ে যায় ভরপুর।

বাংলাদেশের জার্সি পরে চট্টগ্রাম এমইএস কলেজ থেকে আসা বেশ কয়েকজন তরুণ স্লোগান তুলেন,  'তোমার দেশ আমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ, পদ্মা মেঘনা যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা।', 'পাকিস্তানের প্রেতাত্মা পাকিস্তান ফিরে যা'।

শাহাদাত হোসেন হীরা নামক এক সমর্থক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ঐতিহাসিক আন্দোলনের চারণভূমি চট্টগ্রামে অন্যরকম ঝাঁজ নিয়ে এসেছেন তারা,  'এই চট্টগ্রামের মাটি থেকে অনেক আন্দোলনের সৃষ্টি হয়েছে, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, পাক হানাদার বিরোধী আন্দোলন এই চট্টগ্রাম থেকে সৃষ্টি হয়েছে। কোন বাঙালি যদি পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে, পাকিস্তানের জার্সি বহন করে তাহলে এই চট্টগ্রামের যুব সমাজ তা প্রতিহত করবে।'

আরেক সমর্থক বলেন মিরপুরের মাঠে পাকিস্তানি সমর্থকদের বাড়-বাড়ন্ত দেখে তারা প্রতিবাদ জানাতেই মাঠে এসেছেন,  'জার্সিটা পরে আমরা একটা নীরব প্রতিবাদ জানানোর জন্য এসেছি। যেভাবে তারা পাকিস্তানের পতাকা দিয়ে সমর্থন জানিয়েছে মিরপুরে আমরা বাংলাদেশের জার্সি দিয়ে পরিধান করে আমরা প্রতিবাদ জানানোর জন্য এসেছি। এটা চট্টগ্রাম, এটা মিরপুর না। '

এই সমর্থকরা যখন এসব কথা বলছিলেন তখন বাংলাদেশ খেলছিল দারুণভাবে। লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের ঝলকে এগিয়ে যাচ্ছিল দল। ৪৯ রানে ৪ উইকেটে পড়ার পর পঞ্চম উইকেটে দুজন তখন জুটিতে তুলে ফেলেছেন দেড়শো রান।

টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হওয়া বাংলাদেশ টেস্টে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ। তবে তাদের আশা এই ভেন্যুতে ভাল ফল করবে বাংলাদেশ, 'খেলায় জয় পরাজয় তো আছেই। কিন্তু এই চট্টগ্রামের মাটিতে কিন্তু বাংলাদেশের বড় জয় আছে। আমরা আশা করি পাকিস্তানকে এখানে বাংলাদেশ পরাজিত করবে।'

 

 

 

 

Comments

The Daily Star  | English

‘No bone, do not press’

Bandage on CU student Mamun’s head reads

23m ago