‘দুজনেই কঠিন পরিস্থিতিতে ছিলাম, দুজনেই দুজনকে সমর্থন দিয়েছি’

চট্টগ্রাম টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ করে ৩৩০ রান। লিটন-মুশফিক দুজনেই মিলে তুলেন ২০৫ রান। পঞ্চম উইকেট জুটিতে আসে ২০৬ রান।
liton das-mushfiqur rahim
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতা ও নানামুখী সমালোচনার জেরে দুজনেই বাদ পড়েছিলেন টি-টোয়েন্টি দল থেকে। মাথার উপর পাহাড়সময় চাপ ছিল মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের উপর। তারা যখন ক্রিজে গেলে দলও তখন প্রচণ্ড চাপে। সেই চাপ সামলে দুশতাধিক রানের এক জুটিতে রাঙিয়েছেন। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে লিটন জানালেন, কঠিন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে দুজনেই দুজনকে সমর্থন যুগিয়েছেন।

চট্টগ্রাম টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ করে ৩৩০ রান। লিটন-মুশফিক দুজনেই মিলে তুলেন ২০৫ রান। পঞ্চম উইকেট জুটিতে আসে ২০৬ রান।

৪৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা দল তাদের ব্যাটেই পায় শক্ত ভিত। দ্বিতীয় দিনে দলের রান আরও বড় না হওয়ায় আক্ষেপ থাকছে।

তবে অন্তত দুঃসময় আপাতত তাড়ানোর স্বস্তি লিটন-মুশফিক পেতেই পারেন। লিটন জানালেন একই রকম অবস্থায় থাকায় একজন আরেকজনকে সমর্থন যুগিয়ে হেঁটেছেন সাফল্যের পথে,'ভাইয়ার সঙ্গে ছোট ছোট জুটি তো অনেকগুলোই করেছি আমি। এই জুটি অনেক বড় ছিল। নিজের কাছেও অনেক ভাল লাগে যখন অপরপাশ থেকে সঙ্গী যখন আপনাকে অনেক সাহায্য করে, মোটিভেশন দেয়। সব মিলিয়ে আমরা দুজনেই কঠিন পরিস্থিতিতে ছিলাম, দুজনেই ওভারকাম করেছি। দুজনেই দুজনকে সমর্থন দিয়েছি। এটা সবচেয়ে বড় জিনিস।'

নিজেরা ভালো খেললেও দল এখন ভাল অবস্থানে নেই। বাংলাদেশের ৩৩০ রানের জবাবে বিনা উইকেটেই ১৪৫ রান করে ফেলেছে পাকিস্তান। দ্বিতীয় দিনে আরও ভাল করতে না পারার আক্ষেপ থাকলেও এখনো হাল ছাড়লেন না লিটনরা,  'আমাদের  ইচ্ছা ছিল একটা ভালো সংগ্রহের দিকে নিয়ে যাব কাল। কিন্তু এটাই ক্রিকেট। যেটা আগের দিন হয় সেটা পরেরদিন হয় না। পাকিস্তান ভালো অবস্থায় আছে কারণ কোনো উইকেট হারায়নি। এই বোর্ডে যদি ২/৩ উইকেট থাকতো, এই রানে বা এর থেকে বেশি ১৬০ রানে ৩ উইকেট থাকত তাহলে স্কোর দেখতেও ভালো লাগত। তাহলে মনে হতো দুই দিকেই খেলা থাকত। আমার মনে হয় আমরা যদি কাল সকালে দ্রুত ২-৩ উইকেট নিতে পারি তাহলে সমতায় চলে আসবে। এখন পর্যন্ত খেলা দুই পক্ষেই আছে।'

Comments

The Daily Star  | English

History of student protests in the USA

American campuses -- home to some of the best and most prestigious universities in the world where numerous world leaders in politics and academia have spent their early years -- have a potent history of student movements that lead to drastic change

5h ago