বাংলাদেশ

‘হায় হায় বাংলাদেশ, পুলিশের নাই লাইসেন্স’

নিরাপদ সড়ক ও দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জড়িতদের বিচারে দাবিতে রামপুরা ব্রিজের ওপর অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
গাড়িটির কোনো লাইসেন্স ও ফিটনেসের কাগজ ছিল না। ছবি: মুন্তাকিম সাদ/স্টার

নিরাপদ সড়ক ও দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জড়িতদের বিচারে দাবিতে রামপুরা ব্রিজের ওপর অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আজ মঙ্গলবারও যানবাহনের লাইসেন্স চেক করছেন। সেখানে পুলিশের স্টিকারসহ একটি গাড়ি আটক করেন তারা।

গাড়িটির চালক নিজেকে পুলিশ সদস্য হিসেবে পরিচয় দিলেও গাড়ির কোনো লাইসেন্স ও ফিটনেসের কাগজ দেখাতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

পুলিশ গাড়িটি আটক করে রামপুরা ট্রাফিক পুলিশ বক্সে নিয়ে যায়।

গাড়ির ড্রাইভার জানান, গাড়িটি পুলিশ হেডকোয়াটার্সের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিমের। আজ তিনি নিজেই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।

তিনি বলেন, 'গাড়ির লাইসেন্স হারিয়ে গেছে। স্যার জিডির কপি দেখালেও শিক্ষার্থীরা মানতে রাজি হয় নি।'

সেখানে উপস্থিত অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ নূরুল আমীন বলেন, 'শিক্ষার্থীদের দাবির ভিত্তিতে আমার গাড়িটি আটক করেছি। কাগজপত্র যাচাই করা হচ্ছে।'

কিছুক্ষণ পর শিক্ষার্থীরা আরেকটি বাস চালকের কাগজ দেখতে চাইলে তিনিও কোনো লাইসেন্স দেখাতে পারেননি।

শিক্ষার্থীদের দাবির ভিত্তিতে মামলা নিচ্ছে পুলিশ। ছবি: মুন্তাকিম সাদ/স্টার

তিনি জানান, আজ সকালে পুলিশ সদস্যরা তার গাড়িটি ভাড়া করে এনেছেন।

শিক্ষার্থীরা পুলিশের আরও ৪টি মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারাও কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি। লাইসেন্স ও নম্বরপ্লেট না থাকা পুলিশের মোটরসাইকেলে লাল রং দেন শিক্ষার্থীরা।

ছবি: মুন্তাকিম সাদ/স্টার

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এসময় 'ভুয়া, ভুয়া' বলে স্লোগান দেন। তারা বলেন, 'হায়, হায় বাংলাদেশ, পুলিশের নাই লাইসেন্স।'

শিক্ষার্থীরা তথ্য মন্ত্রণালয়/বাংলাদেশ টেলিভিশনের স্টিকারওয়ালা একটি গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চান। তবে গাড়িটি বাংলাদেশ বেতারের একজন অনুষ্ঠান সচিবের বলে দাবি করেন এর চালক।

ছবি: মুন্তাকিম সাদ/স্টার

তিনি জানান, তার কাগজপত্র ঠিক থাকলেও লাইসেন্সের মেয়াদ নেই। গাড়িতে দুইজন আরোহী থাকলেও পরে আর তাদেরকে সেখানে পাওয়া যায়নি।

ছবি: মুন্তাকিম সাদ/স্টার

গাড়িটিকে ১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

কনস্টেবল রেকার অপারেটর হেলালুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত ৮-৯ টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা সকাল থেকেই কাগজপত্র বিহীন গাড়িগুলো আটক করে পুলিশের কাছে দিয়ে মামলা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Upazila Polls: AL, BNP struggle to keep a grip on grassroots

The upazila election has exposed how neither of the two major parties, the Awami League and BNP, has full control over the grassroots leaders.

51m ago