হতাশার কালো মেঘে ঢাকা বাংলাদেশের পেস আক্রমণও

Syed Khaled Ahmed
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

কালো মেঘে ঢাকা ছিল সারাদিন। থেমে থেমে হওয়া ঝিরিঝিরি বৃষ্টির বাগড়ায় পুরো দিনে খেলা হলো কেবল ৬.২ ওভার। তবে এতেও হতাশাজনক কিছু সময় উপহার দিলেন দুই পেসার ইবাদত হোসেন ও সৈয়দ খালেদ আহমদ।

বৃষ্টি ভেজা উইকেট, মেঘলা আকাশের নিচে পেস বোলিং হয় ভীষণ সহায়ক। এমন কন্ডিশনে তেতে উঠে ব্যাটসম্যানদের কাবু করতে দেখা যায় পেসারদের। রোববার প্রথম সেশন ভেসে যাওয়ার পর যখন খেলা শুরু হলো কন্ডিশন ছিল তেমনই।

অধিনায়ক মুমিনুক হক কন্ডিশন দেখেই তাই বল হাতে তুলে দিয়েছিলেন দুই পেসারকে। খালেদ প্রথম বলটিই করলেন লেগ স্টাম্পের বাইরে। সহজেই ব্যাট ছুঁইয়ে বাউন্ডারিতে পাঠান বাবর আজম।

পরের ওভারে ইবাদত আসতেও একই অবস্থা। অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট বল তাড়া করে বাউন্ডারি পেতে সমস্যা হয়নি আজহার আলির। ইবাদত-খালেদের নির্বিষ বোলিংয়ে দুজনে মিলে রান আনতে থাকেন ওয়ানডে গতিতে। বাংলাদেশ অধিনায়কের অস্বস্তি তখন আবার কমায় বৃষ্টি। দিনের সপ্তম ওভারে বন্ধ হয় খেলা। কিন্তু ওই ৩৮ বলেই ২৭ রান তুলে নেয় পাকিস্তান।

প্রথম দিনও দুই পেসার ছিলেন মলিন। ম্যাচের একদম প্রথম ওভারে কিছুটা সুযোগ তৈরি করেছিলেন। কিন্তু পরের ওভারে খালেদ এসেই সরিয়ে দেন সেই চাপ। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে এখনো পর্যন্ত ৭.২ ওভারে ২৬ রান দিয়ে উইকেট শূন্য খালেদ। তিনি তৈরি করতে পারেননি উইকেট নেওয়ার সামান্য কোন পরিস্থিতিও। ১২ ওভার বল করে ইবাদত দিয়েছেন ৪৮ রান।

দিনের খেলা শেষে দলের হয়ে কথা বলতে আসেন ফিল্ডিং কোচ মিজানুর রহমান বাবুল। খেলোয়াড়ি জীবনে তিনি ছিলেন পেস বোলার। দেশের পেস বোলারদের নিয়েও কাজ করেন তিনি। হতাশা আড়াল করলেন না তিনিও,  'আসলে পেস বোলাররা ভাল বল করেনি। কন্ডিশন যেরকম অনুকূলে ছিল সে অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেনি।'

'পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করলে আমাদের পেস বোলাররা মানসিকভাবে দুর্বল কিংবা উইকেট নেওয়ার জন্য বাড়তি কিছু করতে গিয়ে তাদের জায়গা নড়ে যাচ্ছে।'

এই টেস্ট শেষ করেই নিউজিল্যান্ডের বিমান ধরবে বাংলাদেশ দল। সেখানে পেস বান্ধব কন্ডিশনে আছে দুই টেস্টে।  চোটের কারণে এই ম্যাচে খেলেননি তাসকিন আহমেদ। ছন্দে থাকা এই পেসার হয়ত দলের বড় ভরসা। নিউজিল্যান্ডে তাকেই নিতে হবে বড় দায়িত্ব। কিন্তু অন্য পাশে পেস আক্রমণের এই হাল চিন্তার কারণ বাংলাদেশের। যদিও মিজানুর বলছেন সেরা পেস আক্রমণ নিয়েই নিউজিল্যান্ড যাচ্ছেন তারা।

Comments

The Daily Star  | English

Students’ unions: Legal bars, admin delays stall polls in many universities

Of 56 public universities across the country, only seven have the legal provision for a central students' union

6h ago