ছোটদের শীতের পোশাক

ছবি: সংগৃহীত

শীতের এই মৌসুমে বাজারে উঠেছে নানা রকমের শীতের পোশাক। কেনাকাটার আমেজও জমে উঠেছে। বড়দের পাশাপাশি পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্যদের প্রাণচাঞ্চল্য ধরে রাখতে ও তাদের সুস্থতা নিশ্চিত করতে নির্বাচন করতে হবে সঠিক শীতের পোশাক।

শিশুদের জন্য পোশাক কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন সেটি আরামদায়ক হয়। ত্বক তুলনামূলক কোমল হওয়ায় খসখসে বা শক্ত কাপড়ের শীতের পোশাক পড়ানো হলে শিশুদের শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে।

শীতের পোশাকের ক্ষেত্রে সোয়েটার বা জ্যাকেটের নিচে সুতি কাপড়ের স্তর দেওয়া থাকলে শিশুর ত্বকে ফুসকুড়ি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। সেই সঙ্গে সচেতন থাকতে হবে পোশাকের মান সম্পর্কেও। নরম উলের কিংবা ফ্লানেল কাপড়ের শীতের পোশাক কিনতে পারেন। শিশুরা অনায়াসে এগুলো পড়তে পারবে।

পোশাকে রঙের আধিক্য মনকে সতেজ করে। আর তা যদি শিশুদের হয়ে তাহলে তো কথাই নেই।

করোনা মহামারির ধাক্কা সামলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। স্কুলে যাওয়ার সময় শিশুদের ইউনিফর্মের সঙ্গে দিতে পারেন ফুলহাতা শার্ট, উলেন সোয়েটার ও নিটেড সুতির কার্ডিগান। সঙ্গে জড়িয়ে দিন স্কার্ফ, মাফলার বা রঙিন টুপি।

এক সময় ছোটদের পোশাকে খুব বেশি নতুনত্ব চোখে পড়তো না। তবে চলতি ফ্যাশন ট্রেন্ডে উৎসবভিত্তিক প্রচুর পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন সাইজ আর ডিজাইনের এই পোশাকগুলো শিশুদের বেশ পছন্দসই হতে পারে।

এ বছর প্রিন্টের শীতের পোশাক বেশ সাড়া ফেলেছে৷ এর মধ্যে ফ্লোরাল প্রিন্টেড, গ্রাফিক, অ্যাপলিক করা মোটিফের সোয়েটশার্ট উল্লেখযোগ্য। ছেলে বা মেয়ে উভয়কেই দারুণ মানিয়ে যায় এসব পোশাক। তা ছাড়া বিয়ের অনুষ্ঠান বা পার্টিতে এগুলো বেশ মানানসই।

সামনে জিপ ও চেনযুক্ত প্রিন্টেড সোয়েটশার্ট হালকা ঠাণ্ডার জন্য খুবই উপযুক্ত। স্বল্প দূরত্ব বা সময়ের জন্য কোথাও বেড়াতে গেলে ছোটদের জন্য অনায়াসে বেছে নিতে পারেন ইউনিসেক্স হুডেড জ্যাকেট কিংবা পাফড জ্যাকেট।

বড়দের মতো রিভার্সিবল জ্যাকেটও কিনে ফেলতে পারেন শিশুদের জন্য। এই জ্যাকেটের সুবিধা হচ্ছে এটি দুদিক থেকেই পড়া যায়। হুডি, ব্লেজার ও স্লিভলেস ব্লেজারও শিশুদের আকর্ষণীয় করে তোলে৷

ছোটদের ওভার কোর্টগুলোর নকশা করা হয় ফুল, বারবি ডলসহ বিভিন্ন কার্টুন ছবি দিয়ে। লুকে নতুনত্ব আনতে বিভিন্ন নকশার ওভারকোর্টের জুড়ি মেলা ভার।

Comments

The Daily Star  | English

Manu Mia, who dug thousands of graves without pay, passes away

He had been digging graves for 50 years and never accepted any payment for his service

1h ago