‘যত প্রশংসা করা হোক না কেন, কম হবে’

Babar Azam
পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

শেষ উইকেটে বাংলাদেশের রিভিউ খারিজ হওয়ার পর বিপুল উৎসবে মাঠে পাকিস্তান দল। এমনিতে বাংলাদেশকে টেস্টে হারানো বড় কোন ব্যাপার নয়। কিন্তু বৃষ্টিতে আড়াইদিন ভেস্তে যাওয়ার পরও যে ফল বের করা যাবে এমনটা ভেবেছিল কয়জন! অফ স্পিনার সাজিদ খানের সঙ্গে দুই পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদি ও হাসান আলিকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। বললেন, এদের যত প্রশংসাই করা হোক কম হবে।

বুধবার মিরপুর টেস্টের পঞ্চম দিনে সাফল্যের আলোয় ভাসে পাকিস্তান। বাংলাদেশকে হারায় ইনিংস ও ৮ রানে। ড্র হওয়ার একদম কাছে গিয়ে শেষ বিকেলে ফল বের করে নেয় তারা।

প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেটে ৩০০ করে ইনিংস ছেড়ে দেওয়ার পর সাজিদের স্পিন বিষে মাত্র ৮৭ রানে গুটিয়ে ফলোঅনে পড়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে বাংলাদেশকে কাঁপিয়ে দেয় পাকিস্তানের পেসাররা।

দুই পেসার মিলে ফেলে দেন ২৫ রানে ৪ উইকেট। ম্যাচ শেষে বাবর জানালেন চতুর্থ দিন বিকেলে সাজিদের ওই স্পেলই টার্নিং পয়েন্ট, তবে আলাদা করে তার কণ্ঠে ঝরল পেসারদের প্রশংসা,  'টার্নিং পয়েন্ট ছিল সাজিদের ওই স্পেল, যেখানে ৮ উইকেট নেয়। এতে আমরা মোমেন্টাম পেয়ে যাই। এরপর আজকে ফাস্ট বোলাররা যেভাবে শুরুতে উইকেট নিয়েছে এবং শাহিন শাহ ও হাসান আলি যেভাবে বোলিং করেছে, যত প্রশংসা করা হোক না কেন, কম হবে।'

ম্যাচের এতটা সময় নষ্ট হওয়ার পরও ফল বের করার পেছনে নিজেদের একাগ্রতা, আত্মবিশ্বাস ও চেষ্টা দেখছেন বাবর, 'যখন একটা ব্যাপার নিয়ে ভাবনা পরিষ্কার থাকে যে জিততেই হবে, তার পর যখন সেটির পেছনে ছুটতে থাকবেন, তাড়া করবেন, ফলাফল তখন পক্ষে আসেই। আমি সবাইকে এই বার্তাই দিয়েছি যে চেষ্টা করতে হবে এবং পরিকল্পনায় অটল থাকতে হবে। যে যেমন বোলিং বা ব্যাটিং পারে, সেটাই করতে হবে। তবে মানসিকতা যেন ইতিবাচক থাকে। স্রেফ এটাই ভাবতে হবে যে আমাদের জিততে হবে। সেটাই আমরা পেয়েছি।'

বাংলাদেশে এসে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সবগুলো ম্যাচই জিতে গেছে পাকিস্তান। দলের এমন পারফরম্যান্সে গর্বিত পাকিস্তান অধিনায়ক,  'আত্মবিশ্বাস জোগালে, ওদের ভূমিকা পরিষ্কার করে দিলে এবং দল হিসেবে নিজেদের মেলে ধরার চেষ্টা করতে থাকলে ফল মেলে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে, এখানে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ও টেস্ট সিরিজে যেভাবে ছেলেরা সাড়া দিয়েছে এবং দায়িত্ব নিয়েছে, আমার মতে, এসব ব্যাপারই দলকে এগিয়ে নিয়ে যায়। অধিনায়ক হিসেবে আমি বেশ গর্বিত যে আমার এরকম একটি দল আছে। যেভাবে আমরা দুটি সিরিজই জিতলাম, আজকে টেস্ট ম্যাচে যেভাবে জয় এলো, তা ছিল অসাধারণ।'

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

7h ago