হেডের আগ্রাসী সেঞ্চুরি, ওয়ার্নারের আক্ষেপ
১৭ রানে বেন স্টোকসের বলে বোল্ড হয়েও 'নো' বলের জন্য বেঁচে যান ডেভিড ওয়ার্নার, পঞ্চাশের আগে আরেকবার রোরি বার্নসের কল্যাণে জীবন পান তিনি। সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে বাঁচেন রান আউট থেকেও। তবু সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি তার। অস্ট্রেলিয়ার দারুণ শুরুর পর ওলি রবিনসন, মার্ক উড, ক্রিস ওউকসদের তোপে খেলাও ফিরেছিল ইংল্যান্ড। তবে জো রুটের দলকে হতাশায় পুড়ান ট্রেভিস হেড। ওয়ানডে মেজাজে ৮৫ বলে পেরুন সেঞ্চুরি। তার ব্যাটে শক্ত অবস্থানে চলে গেছে অস্ট্রেলিয়া।
বৃহস্পতিবার ব্রিসবেনের গ্যাবায় অ্যাশেজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ৭ উইকেটে ৩৪৩ রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। লিড নিয়ে নিয়েছে ১৯৬ রানের।
অজিদের আনন্দে ভাসিয়ে ৯৬ বলে ১২ চার, ২ ছক্কায় ১১২ রানে অপরাজিত আছেন পাঁচে নামা হেড। অথচ এই টেস্টে তার জায়গা পাওয়া নিয়ে ছিল সংশয়। উসমান খাওয়াজার সঙ্গে লড়াইয়ে জিতে জায়গা নিয়ে এমন ইনিংস খেললেন যাতে তার ভিত হয়ে গেল পোক্ত।
আগের দিন প্যাট কামিন্সের তোপে ইংল্যান্ডকে ১৪৭ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর আর ব্যাট করতে নামা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। দ্বিতীয় দিনে নেমে শুরুতেই ধাক্কায় খায় তারা। ৬ষ্ঠ ওভারেই মার্কাস হ্যারিসকে তুলে নেন রবিনসন।
এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ওয়ার্নারের সঙ্গে মিলে দারুণ জুটি গড়েন মারনাশ লাবুশান। স্বাগতিকরা এগুতে থাকে তরতরিয়ে। এই জুটি ভাঙ্গার অবশ্য সহজ সুযোগ এসেছিল ইংল্যান্ডের। রবিনসনের বলে স্লিপে সহজ ক্যাচ দিয়েছিলেন ৪৮ রানে থাকা ওয়ার্নার। বার্নস তা ফেলে দিলে ওয়ার্নার এগুতে থাকেন শতকের দিকে।
লাবুশান ছিলেন একটু আগ্রাসী। সেটাই কাল হয় তার। জ্যাক লিচকে ওভার দ্য টপ ছক্কা মারার পরের বলেই স্কয়ার কাট করে ক্যাচ দেন পয়েন্ট। ৭৪ রান করে লাবুশেন ফিরলে ভাঙ্গে ১৫৬ রানের জুটি।
স্টিভ স্মিথ এসেই ছটফট করছিলেন। উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে তার ছটফাটানি বন্ধ করেন উড। ওয়ার্নার টিকে এগুচ্ছিলেন। ৯০ রানে গিয়ে আবারও জীবন পান ওয়ার্নার। ফরোয়ার্ড শর্ট লেগ দাঁড়ানো হাসিব হামিদ ওয়ার্নারকে রান আউট করার সুযোগ হারান। কিন্তু জীবন পেয়েও সেঞ্চুরি পাননি ওয়ার্নার।
রবিনসনের গতি বৈচিত্র্য বুঝতে না পেরে সহজ ক্যাচ উঠান মিড অফে। ১৭৬ বলে ওয়ার্নার থামেন ৯৪ রানে। ঠিক পরের বলেই বল ছেড়ে বোল্ড হয়ে যান ক্যামেরন গ্রিন। রবিনসনে হ্যাটট্রিক ঠেকালেও বেশি দূর যেতে পারেননি অভিষিক্ত অ্যালেক্স ক্যারি। ওকসের বলে পুল শটে সহজ ক্যাচে তিনি ফেরেন ১২ রান করে।
দলের হুট করে ধসে যাওয়ার বিপরীতে তখন আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন হেড। বলে-রানে মিলিয়ে চলেন তাল। আনতে থাকেন বাউন্ডারি।
অধিনায়ক কামিন্সের সঙ্গে আসে তার ৬৯ বলে ৭০ রানের জুটি। ১২ করে কামিন্স ফিরে গেলে মিচেল স্টার্ককে এক পাশে রেখে রান বাড়াতে থাকেন হেড। ৮৫ বলে বাউন্ডারি মেরে স্পর্শ করেন তিন অঙ্ক। টেস্টে এটি তার তৃতীয় শতক, অ্যাশেজে প্রথম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ১৪৭
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ৮৪ ওভারে ৩৪৩/৭ (ওয়ার্নার ৯৪, হ্যারিস ৩, লাবুশান ৭৪, স্মিথ ১২, হেড ১১২*, গ্রিন ০, ক্যারি ১২, কামিন্স ১২, স্টার্ক ১০* ; ওকস ১/৫৬, রবিনসন ৩/৪৮, উড ১/৫৭, স্টোকস ০/৫০, লিচ ১/৯৬, রুট ১/২৯)
Comments