জমি ও ঘর পাচ্ছেন সেই আসপিয়া

বুধবার পুলিশের বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এস এম আক্তাতারুজ্জামানের কার্যালয়ে হাজির হন আসপিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বরিশালে 'ভূমিহীন' হওয়ার কারণে পুলিশ কনস্টেবল পদে লিখিত, মৌখিক ও স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও নিয়োগ আটকে যাওয়া আসপিয়া ইসলামকে জমি ও ঘর দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দিন হায়দার দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, যত দ্রুত সম্ভব আসপিয়ার পরিবারকে জমি ও ঘর দেওয়ার জন্য হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন আমাকে ফোন করেছিলেন। আসপিয়ার পরিবারকে যেন জমি ও ঘর দেওয়া হওয়া হয় সেই নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী, হিজলার ইউএনওকে আসপিয়ার পরিবারকে জমি ও ঘর দ্রুত তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'

ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান বলেনে, 'প্রধানমন্ত্রী যখন নির্দেশ দিয়েছেন তাহলে সেই আদেশ শিরোধার্য। আশাকরি পুলিশ প্রতিবেদন শেষে তার চাকরি হবে।'

গত ১৭ নভেম্বর বরিশালে অনুষ্ঠিত পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় পঞ্চম স্থান অধিকার করে পাশ করে আসপিয়া। এরপর মৌখিক ও স্বাস্থ্য পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হয়ে চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করলেও সরকারি চাকরির নিয়ম অনুয়ায়ী পুলিশের গোপনীয় প্রতিবেদনে, তার 'স্থায়ী ঠিকানা' না থাকায় আটকে যায় তার চূড়ান্ত নিয়োগ।

গত বুধবার পুলিশের বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এস এম আক্তাতারুজ্জামানের কার্যালয়ে আসেন আসপিয়া। কিন্তু, ডিআইজি বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখলেও চাকরির কোনো আশা দিতে পারেননি।

বিষয়টি গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।

আসপিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার বাবা নেই। বরিশালের সরকারি হিজলা ডিগ্রি কলেজ থেকে ২০২০ সালে এইচএসসি পাশ করেছি। হিজলা থেকে অনলাইনে আবেদন করে বরিশালের পুলিশ লাইন্স মাঠে শারীরিক যোগ্যতা পরীক্ষায় পাশ করার পর ১৭ নভেম্বর লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিই। ২৩ নভেম্বর প্রকাশিত লিখিত পরীক্ষার ফলাফলে উত্তীর্ণ হয়। এরপর ২৪ নভেম্বর একই স্থানে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেধা তালিকায় পঞ্চম হয়। ২৬ নভেম্বর জেলা পুলিশ লাইন্সের চিকিৎসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। সর্বশেষ গত ২৯ নভেম্বর মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ঢাকার রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ লাইন হাসপাতালে চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করালে সেখানেও পাশ করি। কিন্তু, চূড়ান্ত নিয়োগের আগে বরিশাল জেলা পুলিশের গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আমার পরিবারকে 'ভূমিহীন' উল্লেখ করা হয়। এতে নিয়োগে আইনি জটিলতায় তৈরি হয়।'

তিনি আরও বলেন, 'আমার স্বপ্ন পুলিশে চাকরি করা, আমার আবেদন ওপর মহল বিবেচনা করবেন বলে আশা করছি।'

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

7h ago