শুভাগতের জোড়া সেঞ্চুরিতে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল চ্যাম্পিয়ন

উইকেটের পরিস্থিতি বিচারে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে নেমে টপ অর্ডারে নেমেছিল ধস। ৫০ রানের আগেই ৫ ব্যাটসম্যান হারিয়ে খাদের কিনারে চলে গিয়েছিল ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল। ৬৮ রানে পড়ে গিয়েছিল ৬ উইকেট। দলের এমন বিপর্যয়ে বুক চিতিয়ে দাঁড়ালেন অধিনায়ক শুভাগত হোম। জাকের আলি অনিককে নিয়ে দুর্দান্ত এক অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলকে চ্যাম্পিয়ন বানালেন তিনি।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিসিবি দক্ষিণাঞ্চলকে ৪ উইকেটে হারিয়ে চার আসর পর বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) শিরোপা ঘরে তুলেছে ওয়ালটন। বিসিএলে এটি তাদের তৃতীয় শিরোপা।
দলকে জেতাতে সাত নম্বরে নেমে ওয়ানডে ঘরানায় ১২১ বলে ১১৪ রানের অসাধারণ এক অপরাজিত ইনিংস খেলেন শুভাগত। প্রথম ইনিংসেও দলের বিপর্যয়ে তিনি করেছিল ১১৬ রান। দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করে দলের শিরোপা জেতার নায়ক তাই এই অলরাউন্ডার।
২১৮ রানের লক্ষ্যে নেমে চতুর্থ দিন বিকেলেই ২৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে ওয়ালটন। পঞ্চম দিনের শুরুতে ফিরে যান ছন্দে থাকা সৌম্য সরকার। মেহেদী হাসান রানার বলে ৮ রান করে এলবিডব্লিউতে কাটা পড়েন সৌম্য।
তাইবুর রহমান পারভেজ এসেও টিকতে পারেননি। তিনিও শিকার রানার। এই বাঁহাতি পেসারের বলে মাত্র ৩ রান করে তিনি ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে। ৪৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে মধ্যাঞ্চল। এরপর সালমান হোসেনকে নিয়ে একটি জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন শুভাগত। এই জুটিও বড় হয়নি।
থিতু থাকা সালমান ইনিংস বড় করতে পারেননি। কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে ৩৭ রান করে তিনি বিদায় নিলে হারের শঙ্কা বড় হয় মধ্যাঞ্চলের।
সেই শঙ্কা দারুণ আস্থার সঙ্গে দূর করেন অধিনায়ক শুভাগত। তার সঙ্গে দারুণ নিবেদন দেখান অনিক। সপ্তম উইকেটে তাদের মহাগুরুত্বপূর্ণ জুটিতে আসে ১৫৩ রান। জাকের ১২৪ বলে অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে। তাতে ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার উল্লাসে মাতে ওয়ালটন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল প্রথম ইনিংস: ৩৮৭
ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল প্রথম ইনিংস: ৪৩৮
বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল দ্বিতীয় ইনিংস: ২৬৮
ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল দ্বিতীয় ইনিংস: ৬৩.৫ ওভারে ২২১/৬ (মিঠুন ৭, মজিদ ৫, সৌম্য ৮, মুরাদ ১, সালমান ৩৭, তাইবুর ৩, শুভগত ১১৪*, জাকের ৪১*; ফরহাদ ১/৩৮, রানা ২/৫০, নাসুম ২/৪৩, মেহেদী ০/২৫, কামরুল ১/৪৫)
ফল: ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল ৪ উইকেটে জয়ী।
Comments