১৭ উইকেট পতনের দিনে চালকের আসনে অস্ট্রেলিয়া

Australia Team
ইংল্যান্ডের উইকেট ফেলে অস্ট্রেলিয়ার উল্লাস। ছবি: টুইটার

আগের দিনে ৬ উইকেটে ২৪১ নিয়ে নেমে তিনশো পেরিয়ে থামল অস্ট্রেলিয়া। এরপর প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্কের গোলায় লণ্ডভণ্ড হয়ে ইংল্যান্ড গুটিয়ে গেল দুশোর আগেই। দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে টপটপ অর্ডারের তিনজনক হারালো অস্ট্রেলিয়াও। একদিনে পড়ল ১৭ উইকেট। তবে এরমধ্যে জুতসই লিড হয়ে যাওয়ায় স্বস্তিতেই আছে স্বাগতিকরা।

শনিবার হোবার্টে অ্যাশেজের শেষ টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ১৫২ রানে এগিয়ে আছে অজিরা। হাতে আছে ৭ উইকেট।

অস্ট্রেলিয়ার করা ৩০৩ রানের জবাবে ১৮৮ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ১১৫ রানের লিড নিয়ে ৩ উইকেটে ৩৭ রান তুলে দিন শেষ করেছে অজিরা। ১৭ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন স্টিভেন স্মিথ। ৩ রান করে তার সঙ্গী নাইটওয়াচম্যান স্কট বোল্যান্ড।

অ্যাশেজে গোলাপি বলের দ্বিতীয় টেস্টে জেতার সম্ভাবনা স্বাগতিকদের অনেক বেশি। এমনিতেই আগের চার টেস্টের তিনটি জিতে সিরিজ নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের।

৬ উইকেটে ২৪১ নিয়ে নামা অস্ট্রেলিয়া দিনের শুরুতেই হারিয়ে ফেলে মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সের উইকেট। পরে ন্যাথান লায়নকে নিয়ে দলকে টানেন আলেক্স ক্যারি। ২৪ রান করে ক্যারি ফেরার পর দলকে তিনশো পার করান ৩১ করা লায়ন। স্টুয়ার্ট ব্রড, মার্ক উড দুজনেই নেন ৩টি করে উইকেট।

প্রতিপক্ষকে মাঝারি পুঁজিতে আটকানোর সুবিধা একদম তুলতে পারেনি ইংল্যান্ড। গোলাপি বলের স্যুয়িং-মুভমেন্টে বিশাল ধস নামে তাদের ইনিংসে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই রান আউট হয়ে ফেরেন রোরি বার্নস। থিতু হওয়া জ্যাক ক্রলি আর দাবিদ মালানকে ছাঁটেন কামিন্স।

ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট দিচ্ছিলেন বড় রানের আভাস। ৩৪ করার পর তার ডানাও ছেঁটে ফেলেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক। সিরিজজুড়ে অনেকটা নিজের ছায়া হয়ে থাকা বেন স্টোকসকে কাবু করেন স্টার্ক। ৮৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে ইংল্যান্ড। এরপর স্যাম বিলিংস, ক্রিস ওউকস মিলে টেনেছেন দলকে।

সপ্তম উইকেটে তাদের জুটিতে আসে ৪২ রান। স্টার্ক-কামিন্স মিলে শেষটাও মুড়ে দেন দ্রুতই। ৪৫ রানে ৪ উইকেট নেন কামিন্স, ৫৩ রানে ৩ শিকার ধরেন স্টার্ক।

১১৫ রানে পিছিয়ে থাকা ইংলিশরা খেলায় ফিরতে দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুতেই দেখায় ঝাঁজ। ব্রডের একদম তৃতীয় বলেই ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ডেভিড ওয়ার্নার। প্রথম ইনিংসে ২২ বলে ০ করা অজি ওপেনার দ্বিতীয় ইনিংসেও রানের খাতা খুলতে না পেরে ম্যাচে পান 'পেয়ার'। চতুর্থ ওভারে আঘাত হানেন ওউকস। ছন্দে থাকা মারনাস লাবুশানেকে ক্যাচ বানান উইকেটের পেছনে।

উসমান খাওয়াজা আর স্মিথ মিলে গড়েছিলেন প্রতিরোধ। কঠিন পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকওভার পারও করে দিয়েছিলেন তারা। ১৫তম ওভারে খাওয়াজাকে ফেরান উড। ৩৮ বলে ১১ করা খাওয়াজাও দেন কিপারের গ্লাভসে ক্যাচ।

গোলাপি বলে ফ্লাড লাইটের নিচে শেষ ভাগটা স্মিথের সঙ্গে মিলে দৃঢ়তা দেখান বোল্যান্ড। নাইটওয়াচম্যান নেমে ২৫ বল সামলে ফেলে আর বিপর্যয় বাড়াতে দেননি তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
chief adviser yunus on july charter 2025

Yunus rules out referendum over July Charter

Chief adviser insists party agreement key to polls; vows justice, reform ahead of election

6h ago