চাচার বাসায় মিষ্টি নিয়ে যাবো: আইভী

সেলিনা হায়াৎ আইভী। ছবি: রাশেদ সুমন/স্টার

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ের পর প্রতিক্রিয়ায় ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, এ জয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উৎসর্গিত, নারায়ণগঞ্জের নিবেদিত প্রাণ জনসাধারণের জন্য উৎসর্গিত। যারা আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছেন। এ জয় উৎসর্গিত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য।'

তিনি বলেন, 'আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমার নেত্রী যিনি আমাকে নৌকা দিয়েছেন। আমার দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা, যারা আমাকে আস্থায় নিয়ে আমার সাথে কাজ করেছেন। আমি অসংখ্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি নারায়ণগঞ্জের জনসাধারণেরর প্রতি, আমার ভোটারদের প্রতি, আমার নেতাকর্মীদের প্রতি। যারা আমার পাশে ছিলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন। তাদের প্রতি আমার অকৃতিম ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা।'

তিনি বলেন, 'আমি আগামী পাঁচ বছর নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করতে চাই। আমি আমার জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত উৎসর্গ করতে চাই। আমি সব ধরনের বাধা পেরিয়ে কাজ করতে চাই।'

সবগুলো নির্বাচনই ছিল চ্যালেঞ্জিং। এটাও তারচেয়ে কোন অংশে কম না জানিয়ে আইভী বলেন, একেকটার একেক রকম ধরন ছিল। নির্বাচন মানেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রতিযোগিতা। এসবগুলো ওভারকাম করে জয়কে নিয়ে আসাই আমাদের সাফল্য। তবে এখানে যতকিছুই হোক না কেন বা অতীতেও যে বিজয় হয়েছে সবকিছুর মূলেই আমার এখানের জনশক্তি এবং জনসমর্থন। যদি জনসমর্থন না থাকতো তাহলে আমি এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে পারতাম না। তবে এ জনসর্মথনকে আস্থায় আনার জন্য আমি কখনো মানুষকে মিথ্যা বলি নাই। কখনো অযথা আশ্বাস দেইনি।'

 

তৈমূর আলম খন্দকারের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি জানি না উনি কী বলেছেন। প্রচুর গণমাধ্যম ছিল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছিল। আমি জানি না ইঞ্জিনিয়ারিং কোথায় হয়েছে? বরং আমি সকাল থেকে অভিযোগ করছিলাম স্লো হচ্ছে। যদি ভোট স্লো না হতো তাহলে ১ লাখ ভোটের ব্যবধান হতো। এখানে কী সুক্ষ কারচুপি হয়েছে আমি জানি না। এখানে সুন্দর নির্বাচন হয়েছে।

চাচার বাসায় মিষ্টি নিয়ে যাবো। চাচা অনুমতি দিলে অবশ্যই যাবো। অনুমতি না দিলেও যাবো।'

শামীম ওসমান কি অভিন্দন জানিয়েছেন? জবাবে তিনি বলেন, জানাবে হয়তো। এখনো জানায়নি।

রোববার রাতে শহরের পশ্চিম দেওভোগে চুনকা কুটিরের নিজ বাসায় তিনি এসব কথা বলেন।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

3h ago