ঢালিউড

ভোটের দিন আমার কাছে চুমু চেয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা: নিপুণ

শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে আজ রোববার বিকালে প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নিপুণ অনেক অভিযোগের মধ্যে একটি অভিযোগে বলেন, 'নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন ভোটের দিন সকালে আমার কাছে ২টা চুমু চেয়েছিলেন। সেখানে আমাদের প্যানেলের জেসমিন ছিল। তাকে থাপড়ানো উচিত। তাকে সিনেমা নাটকে কোনোদিন না নেওয়া উচিত।'
ছবিঃ শেখ মেহেদি মোর্শেদ

শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে আজ রোববার বিকালে প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নিপুণ অনেক অভিযোগের মধ্যে একটি অভিযোগে বলেন, 'নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন ভোটের দিন সকালে আমার কাছে ২টা চুমু চেয়েছিলেন। সেখানে আমাদের প্যানেলের জেসমিন ছিল। তাকে থাপড়ানো উচিত। তাকে সিনেমা নাটকে কোনোদিন না নেওয়া উচিত।'

তিনি আরও বলেন, 'এখানে জায়েদ খান, এফডিসির এমডি, আর নির্বাচন কমিশনার পীরজদা হারুন একটা চক্র। তারা সবাই মিলে জায়েদ খানকে জিতিয়ে দিয়েছে। তারা টাকা দিয়ে ভোট কিনেছে ভিডিওতে সেটা দেখা গেছে।'

সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত আছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, রিয়াজ, আফজাল শরীফ সাইমন, জেসমিনসহ অনেকেই।

নিপুণ আরও বলেন, 'আমি আবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে শুধু সাধারণ সম্পাদকের ভোট চাই। অন্যপদের নির্বাচন চাচ্ছিনা। আমি সবকিছুর জন্য উচ্চ আদালতে যাবো। আমাদের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এই নিয়ম আছে শুধু এক পদের ভোট হওয়া।'

পীরজাদা হারুনের উদ্দেশে নিপুণ বলেন, 'আমি আপনার কাছে অভিযোগ করেছিলাম টাকা লেনদেন হচ্ছে আপনি আমার কথা শুনেননি। নির্বাচনের সময় আপনি আমাদের একটি ব্যারিকেডের মধ্যে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন। সেখানে শুধু আমরাই ছিলাম। সেখানে একবারের জন্যও জায়েদ খান আসেননি। সকল নিয়ম কি কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদের জন্যই ছিল। আমাদের সংগঠনের নিয়ম টাকা আদান প্রদান করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপনারা কি ব্যবস্থা নিয়েছেন? তাদের কারণে আমার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বনানী থানায় জিডি করতে হয়েছে।'

অভিযোগের বিষয়ে পীরজাদা হারুন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, 'এমন কিছুই ঘটেনি। নিপুণ কেন এমন বলবে? দুইজনের সামনে কি এমন কথা বলা যায়? নিপুণকে এমন ফান করতে নিষেধ করবেন।'

গত ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের কাছে ১৩ ভোটে পরাজিত হন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। ফলাফলে অসন্তোষ জানিয়ে ভোট পুনর্গণনার জন্য আপিল করেন নিপুণ। কিন্তু সেখানেও একই ফলাফল পায় আপিল কমিটি।

এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৪২৮। ভোট দিয়েছেন ৩৬৫ জন। এর মধ্যে কার্যকরী পরিষদের সদস্যপদে ১০টি আর সাধারণ সম্পাদক পদে বাতিল হয় ২৬টি ভোট। 

ভোটে ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন সভাপতি পদে ১৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিশা সওদাগর পান ১৪৮ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে ১৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন জায়েদ খান। নিপুণ পান ১৬৩ ভোট।

Comments

The Daily Star  | English

Three difficult choices to heal economy

Bangladesh yesterday made three major decisions to cushion the economy against critical risks such as stubborn inflation and depletion of foreign currency reserves.

7h ago