যুব বিশ্বকাপে পাকিস্তানি তরুণের ইতিহাস

শিরোপা লড়াই থেকে আগেই ছিটকে গেছে পাকিস্তান। ছিটকে গেছে শ্রীলঙ্কাও। পঞ্চম স্থান নির্ধারণী ম্যাচটা জয় দিয়ে শেষ করা মূল লক্ষ্য। পাশাপাশি নিজেদের ছাপ রেখে বিদায় নেওয়ার সুযোগ ছিল দুই দলের কাছেই। পাকিস্তান অধিনায়ক কাসিম আকরাম করলেন সেটাই। নতুন ইতিহাসই গড়েছেন। যুব বিশ্বকাপে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে একই সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর ফাইফারও পেলেন এ পাকিস্তানি।

আর কাসিমের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে বিশাল জয় পেয়েছে পাকিস্তান। ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কাকে ২৩৮ রানের বিশাল জয় পায় পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল। যা এ আসরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে কোনো দলের সর্বোচ্চ জয়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ৩৬৫ করে পাকিস্তান। জবাবে ১২৭ রানেই গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা।

বৃহস্পতিবার মোহাম্মদ শাহজাদের সঙ্গে ১৩৪ রানের জুটি গড়ে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে তোলেন হাসিবুল্লাহ খান। এরপর শাহজাদ আউট হলে হাসিবুল্লাহর সঙ্গে কাসিম গড়েন রেকর্ড ২২৯ রানের জুটি। তুলে নেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। ১৩৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ৮০ বলের বিধ্বংসী ইনিংসে ১৩টি চার ও ৬টি ছক্কা মারেন এ অধিনায়ক। তাতেই ৩৬৬ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করায় দলটি।

ব্যাট হাতে দাপট দেখানোর পর বল হাতেও বিধ্বংসী কাসিম। ঘূর্ণির মায়াজাল বিছিয়ে ইনিংসের প্রথম বল থেকেই শুরু করেন। একে একে ছাঁটাই করেন প্রথম পাঁচ লঙ্কান ব্যাটারকে। তার সঙ্গেই গড়ে ফেলেন ইতিহাস। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ইতিহাসের এমন পারফরম্যান্স করার কৃতিত্ব নেই আর কেউর। প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে এক ম্যাচে শতরান করার পাশাপাশি পাঁচ উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন এ পাকিস্তানি।

আর কাসিমের বোলিং ঘূর্ণিতে শ্রীলঙ্কা লড়াইটাও করতে পারেনি ম্যাচে। মাত্র ১২৭ রানে শেষ হয় তাদের ইনিংস। নয় নম্বর ব্যাটার ভিনুজা রানপাল শেষ দিকে হার না মানা ৫৩ রানের ইনিংস না খেললে একশও করতে পারতো না দলটি। এ ব্যাটার ছাড়া বলার মতো রান করেছেন কেবল অধিনায়ক দুনিথ ওয়ালালাগে।

Comments

The Daily Star  | English

Govt decides to ban activities of AL until completion of ICT trial

Law Adviser Prof Asif Nazrul said this at a press briefing after a special meeting of the advisory council tonight

2h ago