প্রভাবশালী চক্রের কবলে বনের জমি

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার রংমহলে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য থেকে বালু উত্তোলন চলছে। ছবি: ইব্রাহিম খলিল মামুনের সৌজন্য

বাঁধ তৈরি ও বালু উত্তোলনের কারণে ২টি খাল ধ্বংস হয়েছে আগেই। এখন ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে জড়িত স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী আবাদি জমি থেকে বালু উত্তোলন করে একটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যকে শেষ করার পথে নেমেছে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে পরিবেশগতভাবে স্পর্শকাতর ও পর্যটন শহর চকরিয়া উপজেলার প্রভাবশালী একটি মহলকে ইজারা দেওয়া খাল ২টি হলো- পাগলির চর খাল ও ডুলাহাজরা খাল।

ইজারা নেওয়ার পর থেকেই ওই সিন্ডিকেট অন্তত ৫০টি ড্রেজার ব্যবহার করে খাল ও খামারের জমি থেকে বালু ও মাটি উত্তোলন করে তা নির্মাণ কাজের জন্য বিক্রি করে আসছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানা যায়, এখান থেকে প্রতিদিন প্রায় ৫০ ট্রাক বালু ও মাটি বিভিন্ন নির্মাণস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রতিটি ট্রাক ২৫০ বর্গফুট বালু বা মাটি বহন করতে পারে। যার দাম সাড়ে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

এই প্রক্রিয়ায় এখানকার গাছ, গুল্ম ও ঘাসসহ বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গাছ উজাড় হয়ে যাচ্ছে। আবাসস্থল হারাচ্ছে বিভিন্ন বন্যপ্রাণী।

ফাসিয়াখালী বন অত্যন্ত বিপন্ন এশিয়ান হাতির আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত।

পরিবেশ অধিদপ্তরের ১টি দলের অনুমান, আগের ইজারাদারদের বালু ও মাটি উত্তোলনের ফলে গত ২ বছরে ২টি খালের ৪ হাজার বর্গফুট এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চলতি বছর জেলা প্রশাসন আবার ইজারা দেওয়ার আগে পরিবেশ অধিদপ্তর এই কাজের সঙ্গে জড়িত ৮জনকে জরিমানা করেছিল।

মাটি উত্তোলনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী এর প্রতিকার চেয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগও করেছেন।

***পুরো প্রতিবেদন পড়ুন- Forestland at the mercy of powerful gangs

 

Comments

The Daily Star  | English

Govt warns of tough action against protesting NBR officials

The strike crippled activities at customs and ports, affecting exports, imports, and businesses.

18m ago