‘স্থানীয় ক্রিকেটাররা এখনকার মতো এত ভালো ছিল না’

Moeen Ali
সিলেটে অনুশীলনে মঈন আলি। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

দুনিয়া ঘুরে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে বেড়ানো ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার মঈন আলি এর আগেও একবার বিপিএল খেলেছিলেন। ২০১৩ সালে বিপিএল খেলেছিলেন দুরন্ত রাজশাহীর হয়ে। তবে সে সময়ের তুলনায় বিপিএলে স্থানীয় খেলোয়াড়দের মানে স্পষ্ট উন্নতি দেখতে পাচ্ছেন তিনি।

যেকোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের মান নির্ভর করে মূলত স্থানীয় ক্রিকেটারদের পর। যেহেতু একাদশে বেশিরভাগ স্থানীয় ক্রিকেটাররাই খেলেন তাদেরই খেলার মান গড়ে দিতে রাখতে হয় ভূমিকা।

বিপিএলে যদিও স্থানীয় ক্রিকেটারদের মান নিয়ে আছে প্রশ্ন। তবে মঈন নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখতে পাচ্ছেন উন্নতি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ করে ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আসেন তিনি। পরদিনই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলতে নামেন বিপিএলের ম্যাচ। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ওই ম্যাচে ৪ ওভার বল করে দেন ২৭ রান। ব্যাট করার সুযোগ মেলেনি তার। 

পরের ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় সিলেট পর্বেই মেলে ধরার সুযোগ তার। রোববার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি গ্রাউন্ডে অনুশীলন শেষে বাংলাদেশের স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে ইতিবাচক কথা মঈনের,   '১১ বছর আগের চেয়ে (৯ বছর) এখন পেশাদারিত্ব বেশি এখানে। আরও পেশাদার, আরও ভালো দল, মান এখন মনে হচ্ছে অনেক ভালো। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে এমনটিই কাম্য, সময়ের সঙ্গে ভালো হবে। আমি যা দেখেছি, আগের চেয়ে মান এখন অবশ্যই অনেক ভালো। স্থানীয় ক্রিকেটারদের মান আগের চেয়ে ভালো, এখন ভালো মানের বিদেশি ক্রিকেটারও আসছে। আশা করি, সামনে আরও ভালো হবে।'

'স্থানীয় ক্রিকেটাররা আগেও ভালো ছিল। কিন্তু এখনকার মতো এত ভালো ছিল না। এটা বড় ব্যাপার। স্থানীয় ক্রিকেটাররা ভালো হলে দুনিয়ার সব জায়গায় টুর্নামেন্টও ভালো হয়। আইপিএলে যেমন, স্থানীয় ক্রিকেটাররা দুর্দান্ত। স্থানীয়রা ভালো হলে, বিদেশিরা ভালো হলে, টুর্নামেন্টও সবসময় ভালো হয়। ১১ বছর আগের চেয়ে এখন… এমনকি তামিম, সাকিব ও অন্য সবাই এত উন্নতি করেছে এই সময়ে… স্থানীয় ক্রিকেটাররাই তাই আসলে ফ্যাঞ্চাইজিকে ভালো করে তোলে।'

যথেষ্ট ভালো মানের বিদেশি ও জুতসই স্থানীয় ক্রিকেটার মিলে বিপিএলে বেশ শক্ত চ্যালেঞ্জই দেখছেন ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার,  'খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট এখানে, খেলাটাই এখানে অনেক আলাদা। খুব ভালো সব স্পিনার আছে এখানে, ভালো ব্যাটার, যেমনটি বলেছি, ভালো মানের বিদেশি ক্রিকেটার আছে। কাজটা এখানে কঠিন, সহজ নয় মোটেও।'

মঈনের মতে বাংলাদেশে ভালো খেলতে পারলে বিশ্বের যেকোনো জায়গায় ভালো খেলা সম্ভব। আগামী বছর ওয়ানডে সুপার লিগের সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ড আসবে বাংলাদেশ। তার আগে এখানকার কন্ডিশন থেকে নিজেকে আরও শাণিত করার সুযোগ বিপিএলেই দেখছেন মঈন, 'আমার মনে হয়, সফরকারীদের জন্য বাংলাদেশ সবচেয়ে কঠিন জায়গাগুলোর একটি, বিশেষ করে ব্যাটসম্যানদের জন্য।  তবে অনেক কিছু শেখার সুযোগ আছে। এখানে ভালো খেলতে পারলে আমার মনে হয়, যে কোনো জায়গায় ভালো খেলা যায়। আমার বাংলাদেশে আসার কারণগুলোর মধ্যে এটিও একটি, উন্নতির চেষ্টা করা ও কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। ইংল্যান্ডের হয়ে যখন এখানে আসব ভবিষ্যতে, আশা করি কন্ডিশন সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা থাকবে। এখানে এসে তাই আমি খুবই খুশি। মান এখানে এখন খুবই ভালো। কাজেই আসতে পারাটা দারুণ। আমার মনে হয়, বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও অনেক উন্নতি করেছে। ' 

 

Comments

The Daily Star  | English

NBR officials end strike after govt warning

Following a stern government warning and mounting pressure from the country’s top business leaders, officials of the National Board of Revenue have withdrawn their shutdown.

7h ago