শিশুদের কান ধরিয়ে ওঠবস, কলাবাগান থানার ৪ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর কলাবাগানের তেতুঁলতলা মাঠ দখলের পর মাঠে খেলতে চাওয়ায় শিশুদের প্রকাশ্যে কান ধরিয়ে ওঠ বস করানোর অভিযোগ উঠেছে কলাবাগান থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় আজ রোববার ১ এসআই ও ৩ কনস্টেবলকে কলাবাগান থানা থেকে প্রত্যাহার করে ডিসি রমনা অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন।

তিনি বলেন, 'কলাবাগানের ঘটনায় রমনা জোনের এডিসিকে প্রধান করে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৪ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'

গত ৩১ জানুয়ারি তেঁতুলতলা মাঠে থানা ভবন নির্মাণের সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ওইদিন দুপুরেই থানা পুলিশের ১০-১২ জন সদস্যের উপস্থিতিতে মাঠের চারপাশে তারকাঁটার বেড়া দেওয়া হয়। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, মঙ্গলবার পুলিশ সদস্যরা মাঠে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার সময় শিশুরা খেলা থামায়নি। সেদিন রাতে ওই শিশুদের খুঁজে বের করে মাঠের সামনে এনে কান ধরে উঠবস করায় পুলিশ সদস্যরা। ওই শিশুরা যাতে মাঠে আর খেলতে না যায় সেজন্য মোবাইল ফোনে নির্যাতনের ভিডিও করে হুমকি দেন চার পুলিশ সদস্য।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা গেছে নির্যাতনের পর তারা আর এই মাঠে আর খেলবে না এমন কথা বলিয়ে ভিডিও ধারণ করেছে পুলিশ।

শিশুদের ওপর পুলিশের এ ধরনের নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন অনেকে।

মাঠ দখলের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এর আগে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, 'ঢাকা জেলা প্রশাসক জমিটি অধিগ্রহণ করে ডিএমপিকে দিয়েছে। ডিএমপি কলাবাগান থানার জন্য জমিটিকে নির্ধারণ করে দিয়েছে। জমিটিতে শিগগির নিমার্ণকাজ শুরু হবে।'

তদন্তের প্রসঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নিউ মার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান বলেন, 'এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। অভিযোগের বিষয়টি তারা তদন্ত করে দেখবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Depositors leave troubled banks for stronger rivals

Depositors, in times of financial uncertainty, usually move their money away from troubled banks to institutions with stronger balance sheets. That is exactly what unfolded in 2024, when 11 banks collectively lost Tk 23,700 crore in deposits.

10h ago