শাবিপ্রবি: ছবিতে-প্ল্যাকার্ডে-মিছিলে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনে সরকারের উচ্চমহলের আশ্বাসে গত ২৬ জানুয়ারি আমরণ অনশন ভাঙার ১৫ দিন হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত দাবি পূরণ হয়নি শিক্ষার্থীদের।
দ্রুত উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আজ বিকেল ৫টায় স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড ও ১৬ জানুয়ারি পুলিশী নির্যাতনের রক্তাক্ত ছবি নিয়ে মিছিল করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
শতাধিক শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে প্ল্যাকার্ড ও ছবি হাতে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেছেন।
গত ১৩ জানুয়ারি বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনে ১৬ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার পর উপাচার্যের পদত্যাগের দাবির আন্দোলনে রূপ নেয়। এর আগে ছাত্রলীগও আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়।
১৯ জানুয়ারি দুপুরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২৪ জন আমরণ অনশনে বসলে আন্দোলন তীব্র রূপ লাভ করে। প্রায় ১৬৩ ঘণ্টা পর ২৬ জানুয়ারি সকালে তারা অনশন ভাঙেন।
তাদের অনশন ভাঙাতে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে দাবি পূরণের আশ্বাস নিয়ে ক্যাম্পাসে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক দম্পতি ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও ড. ইয়াসমিন হক। তাদের আশ্বাসেই অনশন ভাঙেন শিক্ষার্থীরা। তাদের অনুরোধে উপাচার্যের বাসভবন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে অবরোধ সরিয়ে নেন আন্দোলনকারীরা।
পরে ড. জাফর ইকবাল ও ড. ইয়াসমিন হকের হাতে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৫টি দাবি সরকারের উচ্চপর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তুলে দেন।
দাবিগুলো হলো: উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগসহ ছাত্র উপদেশ পরিচালক অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমেদ ও প্রক্টরিয়াল বডির অপসারণ, ক্যাম্পাসের সবগুলো আবাসিক হল সচল রাখার বিষয়ে উদ্যোগ, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অর্থ সাহায্য দেওয়া ৫ সাবেক শিক্ষার্থীর জামিন, অজ্ঞাতনামা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং অনশনরত শিক্ষার্থী ও উপাচার্যের নির্দেশে পুলিশের হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ভার বহন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র ইয়াছির সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দাবি ও আশ্বাসের কিছু পূরণ হলেও মূল দাবিগুলোই পূরণ হয়নি। মামলা প্রত্যাহার হয়নি, মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টও বন্ধ রয়েছে। আর উপাচার্যের পদত্যাগের ব্যাপারে দৃশ্যত কোনো উদ্যোগ নেই। এভাবে কালক্ষেপণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে গভীর অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি করছে।'
Comments