প্রতিশ্রুত ৯৯ অক্সিজেন প্ল্যান্টের ১টিও বসানোর কাজ শেষ হয়নি

স্বাস্থ্যসুবিধা সম্প্রসারণে নিরবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য সরকার গত বছর দেশজুড়ে বিভিন্ন সময়ে ৯৯টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানোর পরিকল্পনা করেছিল। এর একটিও বসানোর কাজ এখন পর্যন্ত শেষ হয়নি।

স্বাস্থ্যসুবিধা সম্প্রসারণে নিরবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য সরকার গত বছর দেশজুড়ে বিভিন্ন সময়ে ৯৯টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানোর পরিকল্পনা করেছিল। এর একটিও বসানোর কাজ এখন পর্যন্ত শেষ হয়নি।

গত বছরের এপ্রিলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন, 'আমরা যন্ত্রপাতি আমদানি করব…বিভিন্ন হাসপাতালে ছোট ছোট অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য'।

ওই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ার মধ্যে হাসপাতালগুলো অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে রীতিমতো লড়াই করছিল। সেইসঙ্গে বাংলাদেশে মেডিকেল অক্সিজেনের প্রধান উৎস ভারত তাদের নিজেদের চাহিদা মেটাতে অক্সিজেন রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল।

গত বছরের জুলাই নাগাদ বাংলাদেশে মেডিকেল অক্সিজেনের দৈনিক চাহিদা প্রায় ৪০০ টনে পৌঁছায়। স্বাভাবিক সময়ে যার চাহিদা ছিল দৈনিক ১১০ থেকে ১২০ টন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার পর্যায়ক্রমে ৯৯টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট কেনার পরিকল্পনা করে। যার মধ্যে ৪০টি নিজেদের অর্থায়নে, ৩০টি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সহায়তা তহবিল থেকে ও ২৯টি জাতিসংঘের অর্থায়নে কেনার কথা ছিল।

কিন্তু এখন পর্যন্ত কোথাও প্ল্যান্ট বসানোর কাজ শেষ হয়নি বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ফরিদ হোসেন মিয়া।

দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা মাঝে খানিকটা কমলেও এখন আবার বেড়েছে। কিন্তু কোনো হাসপাতালে প্ল্যান্টগুলো এখনও চালু হয়নি বলে জানান তিনি।

১টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট প্রতি মিনিটে ৫০০ লিটার পর্যন্ত অক্সিজেন উৎপাদন করতে পারে। এটি কমপক্ষে ৫০ জন কোভিড আক্রান্ত রোগীকে মিনিটে ১০ লিটার করে নিরবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে। ট্যাঙ্কে সরবরাহ করা তরল অক্সিজেনের তুলনায় নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহের জন্য অক্সিজেন প্ল্যান্ট অনেক বেশি কার্যকর।

সংক্ষেপিত: পুরো প্রতিবেদনটি ইংরেজিতে পড়তে ক্লিক করুন Countrywide oxygen generators: 99 promised, none completed

Comments

The Daily Star  | English

Love road at Mirpur: A youthful street

Certain neighbourhoods in Dhaka have that one spot where people gather to just sit back and relax. For Mirpur, it’s the frequently discussed street referred to as “Love Road”.

2h ago