ওয়াল্টন ঝড়ে বড় পুঁজি পেল চট্টগ্রাম

আক্ষেপটা করতেই পারেন চ্যাডউইক ওয়াল্টন। যদি আর অন্তত একটা ওভার থাকতো কিংবা শেষ দিকে স্ট্রাইকটা ধরে রাখতে পারতেন, তাহলে হয়তো সেঞ্চুরিটা পেতেই পারতেন। তবে তিন অঙ্ক স্পর্শ না করা হলেও কাজের কাজটা করেছেন তিনি। তার ব্যাটে চড়েই লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আক্ষেপটা করতেই পারেন চ্যাডউইক ওয়াল্টন। যদি আর অন্তত একটা ওভার থাকতো কিংবা শেষ দিকে স্ট্রাইকটা ধরে রাখতে পারতেন, তাহলে হয়তো সেঞ্চুরিটা পেতেই পারতেন। তবে তিন অঙ্ক স্পর্শ না করা হলেও কাজের কাজটা করেছেন তিনি। তার ব্যাটে চড়েই লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের এলিমিনেটর পর্বের ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৯ রান করেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

অবশ্য ঝড়ের আভাসটা লিগ পর্বের শেষ ম্যাচেই দিয়ে রেখেছিলেন ওয়াল্টন। চট্টগ্রামকে নক আউট পর্বে আনার সে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে দারুণ অবদান ছিল তার। সে ধারায় এলিমিনেটর পর্বের ম্যাচেও দলকে বড় পুঁজি আনায় রাখেন মূল ভূমিকা। শেষ পর্যন্ত খুলনাকে বড় লক্ষ্যই দিতে পেরেছে সাগর পারের দলটি।

তবে এদিন ম্যাচ শুরুর আগেই বড় ধাক্কা খায় চট্টগ্রাম। হুট করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন দলের সেরা তারকা জ্যাক উইলস। দলের সঙ্গে মাঠে আসলেও বাসেই অসুস্থ হয়ে যান তিনি। পরে হোটেলে ফেরত পাঠানো হয় তাকে। তার জায়গায় সুযোগ মিলে কেনার লুইসের।

তবে হুট করে সুযোগ পাওয়া লুইস অবশ্য খারাপ করেননি। উইলসের মতো বিধ্বংসী না হলেও দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর স্বদেশী ওয়াল্টনকে নিয়ে দলের ইনিংস মেরামতে দারুণ ভূমিকা রাখেন তিনি। তৃতীয় উইকেটে ৩৮ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। লুইসকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলে এ জুটি ভাঙেন নাবিল সামাদ।

এরপর অবশ্য খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শামিম পাটোয়ারিও। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে দলের হাল ধরেন ওয়াল্টন। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১১৫ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। মিরাজ দেখে শুনে ব্যাট করলেও রানের গতি বাড়ানোর কাজটা করেন ওয়াল্টন।

রুয়েল মিয়ার করা ১৫তম ওভারে ২টি করে চার ও ছক্কায় ২২ রান নেন ওয়াল্টন। আর থিসারা পেরেরার করা ১৯তম ওভারের প্রথম চার বল থেকেই তুলে নিয়েছিলেন ১৮ রান। তাতেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় দলটি। শেষ পাঁচ ওভারে ৮০ রান তুলে নেয় দলটি।

শেষ পর্যন্ত ৮৯ রানে অপরাজিত থাকেন ওয়াল্টন। ৪৪ বলের ইনিংসে ৭টি করে চার ও ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান এ ক্যারিবিয়ান। তাকে দারুণ সহায়তা করেছেন মিরাজ।  ৩৬ রান করেন মিরাজ। ৩০ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। এছাড়া লুইসের ব্যাট থেকে আসে ৩৯ রান।

খুলনার পক্ষে ৪০ রানের খরচায় ২টি উইকেট পান সৈয়দ খালেদ আহমেদ।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladeshi students terrified over attack on foreigners in Kyrgyzstan

Mobs attacked medical students, including Bangladeshis and Indians, in Kyrgyzstani capital Bishkek on Friday and now they are staying indoors fearing further attacks

4h ago