বিদায় নেওয়ার পর কী করবেন জানালেন নুরুল হুদা কমিশনের সদস্যরা

বাঁ থেকে: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, কবিতা খানম, শাহাদত হোসেন চৌধুরী ও রফিকুল ইসলাম।

কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ শেষ হয়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারি। এ উপলক্ষে রোববার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন। এরপর সোমবার সকালে নির্বাচন ভবনের লেকভিউ চত্বরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কমিশনের সদস্যরা।

নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা কে কী করবেন সে বিষয়ে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন তাদের পরিকল্পনার কথা।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, বিদায় নেওয়ার পরে তিনি সরাসরি উত্তরায় বাড়িতে যাবেন। এ ছাড়া আমেরিকা যাওয়ারও পরিকল্পনা আছে, সেখানে তার মেয়ে থাকে। করোনার কারণে অনেকদিন সেখানে যান না। 

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি ২-৩ দিন ঘরে বিশ্রাম নেব। তারপর পুরান ঢাকা এলাকায় বেড়াতে যাব। সেখানকার পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করতে।'

তিনি আরও বলেন, 'নির্বাচননামা বলে যে বইটি লিখছি, সেটার কিছু কাজ বাকি আছে। সেটার কাজ শেষ করব।'

নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে কবিতা খানম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি বিচার বিভাগ থেকে এখানে এসেছিলাম। বিভিন্ন বিচারপ্রার্থী যারা আইনগত বিষয়ে আদালতের দিক নির্দেশনা পান না, তাদের সহায়তা করার জন্য একটি ল' কনসালটেন্সি ফার্ম করব। এর বাইরে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট আইন নিয়ে লেখালেখি করব।' 

নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদত হোসেন চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি কার্ড) ওপর পিএইচডি করছি। সেটা শেষ হলে পিএইচডি অভিসন্দর্ভ থেকে একটি বই করার ইচ্ছা আছে।'

এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম তার পরিকল্পনার বিষয়ে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঢাকায় আমার নিজস্ব কোনো বাড়ি নেই। সংসার খরচ, বাড়িভাড়া ইত্যাদি খরচ জোগাড় করতে আমাকে আরেকটি উপার্জনের মাধ্যম খুঁজতে হবে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Blast heard in north Tehran, main road partially closed: AFP

Israel army says struck Iran centrifuge production, weapons manufacturing sites

21h ago