বিপিএল ২০২২

সেই কুমিল্লাকে ফিরে পেয়ে ঝাল মেটালেন সৈকত আলী

ক্ষোভটা হয়তো মনের ভিতর পুষে রেখেছিলেন ফরচুন বরিশালের সৈকত আলী। এই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে শূন্য রানে আউট হয়ে একাদশ থেকে বাদ পড়েছিলেন। তবে সতীর্থদের ব্যর্থতায় ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে সেই কুমিল্লার বিপক্ষেই ফিরলেন। আর ফিরেই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেওয়ার মতো এক ইনিংস খেললেন এ ব্যাটার।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ক্ষোভটা হয়তো মনের ভিতর পুষে রেখেছিলেন ফরচুন বরিশালের সৈকত আলী। এই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে শূন্য রানে আউট হয়ে একাদশ থেকে বাদ পড়েছিলেন। তবে সতীর্থদের ব্যর্থতায় ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে সেই কুমিল্লার বিপক্ষেই ফিরলেন। আর ফিরেই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেওয়ার মতো এক ইনিংস খেললেন এ ব্যাটার।

অথচ বাজিটা ছিল মুনিম শাহরিয়ারকে নিয়ে। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে এবারের বিপিএলে বিস্ময় ছড়িয়েছেন এ ব্যাটার। কিন্তু ফাইনালে করতে পারলেন না কিছুই। তবে তাতে সমস্যা হয়নি বরিশালের। তার ঘাটতিটা পুষিয়ে দিলেন সৈকত। আট ম্যাচ পর ফাইনালের মঞ্চে ফিরে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের ফাইনাল ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দেওয়া ১৫২ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমেছে ফরচুন বরিশাল। সৈকতের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৮১ রান তুলেছে দলটি। শেষ ১০ ওভারে আর ৭১ রান চাই দলটির।

এদিন তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামেন সৈকত। শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাট চালিয়ে ২৬ বলে তুলে নেন ফিফটি। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পথে ১০টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩৪ বলে ৫৮ রান করে তানভির ইসলামের বলে আউট হয়েছেন তিনি। আরও একটি ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে লংঅন সীমানায় কুমিল্লা অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের তালুবন্দি হন তিনি।

তবে উইকেটে নেমে শহিদুল ইসলামের প্রথমে বলে পরাস্ত হয়েছিলেন সৈকত। কিন্তু মুহূর্তেই নিজেকে সামলে ওঠেন। পরের তিন বলে মারেন টানা তিনটি চার। তার আগ্রাসনের শুরু তখন থেকেই। অবশ্য সুনীল নারাইনের করা পরের ওভারে খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেননি। তার বিরুদ্ধে সে ওভারের চতুর্থ বলে আঙুল তুলেছিলেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি। পরের বলেই মারেন একটি বাউন্ডারি।

ছাড় দেননি দেশ সেরা পেসার মোস্তাফিজুর রহমানকেও। তার করা চতুর্থ ওভারে চার বলের মধ্যে তিনটি বাউন্ডারি মারেন সৈকত। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে মঈন আলীকে মারেন টানা দুটি বাউন্ডারি। যার একটি মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা। পাওয়ার প্লে শেষ হলেও আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের ধারা চালিয়ে যান সৈকত। আবু হায়দার রনির করা পরের ওভারের শেষ তিন বলে টানা তিনটি চার মারেন।

অথচ আসরের প্রথম তিন ম্যাচ খেলার পর আট ম্যাচে একাদশে ছিলেন না সৈকত। যদিও মাঠের পারফরম্যান্স খারাপ ছিল না তার। প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে করেছিলেন ৩৯ রান। এরপর মিনিস্টার ঢাকার বিপক্ষে ১৫ রান। তবে তৃতীয় ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে শূন্য রান করায় বাদ পড়েছিলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

There is a reason why daily news has become so depressing

Isn't there any good news? Of course, there is. But good news doesn't make headlines.

8h ago