দ্বিতীয় ওয়ানডে থেকে সব টিকিট বিক্রির পরিকল্পনা বিসিবির

Mirpur sher e bangla stadium gallery
ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাবে সরকার যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল, তা থাকছে না মঙ্গলবার থেকে। বাধ্যবাধকতা শেষ হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে থেকে সকল টিকিট বিক্রির পরিকল্পনা করছে বিসিবি।

১৮ হাজারের কিছু বেশি দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগামীকাল বুধবার শুরু হচ্ছে দুই দলের ওয়ানডে সিরিজ। একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডে মাঠে গড়াবে আগামী ২৫ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি। ওই দুই ম্যাচে পুরো স্টেডিয়ামে দর্শক রাখার রাখার চিন্তা রয়েছে দেশের সর্বোচ্চ ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার।

বিসিবি পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ টিটু এর আগে জানিয়েছিলেন, আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে অন্তত স্টেডিয়ামে ৫০ শতাংশ দর্শক চান তারা। তবে সরকার বিধিনিষেধ বর্ধিত না করায় দ্বিতীয় ওয়ানডে থেকে গ্যালারি কানায় কানায় পূর্ণ থাকা একরকম নিশ্চিত।

মঙ্গলবার দ্য ডেইলি স্টারকে তানভীর বলেছেন, আগাম প্রস্তুতি না থাকায় প্রথম ওয়ানডেতে সব টিকিট বিক্রি করা যাচ্ছে না, 'যেহেতু সরকারের করোনাভাইরাসের বাধ্যবাধকতা উঠে গেছে, সেহেতু টিকিট সবই বিক্রি করার কথা। কিন্তু আমাদের সেই প্রস্তুতিটা ছিল না। গতকাল যেহেতু বন্ধ ছিল (আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কারণে)। তো টিকিট যতগুলো ছাপানো ছিল, ততগুলাই আমরা দিচ্ছি। আর সেটার পরিমাণ তিন-চার হাজারই হবে।'

পরের ম্যাচ থেকে সব টিকিট বিক্রির জন্য ইতোমধ্যে ছাপানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তানভীর জানিয়েছেন, এখন টিকিটগুলো হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন তারা, 'নেক্সট ম্যাচ থেকে আমরা সব টিকেট ছাপানোর জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি। আগামী ম্যাচ থেকে আমরা ফুল হাউজ করার পরিকল্পনা করছি, যেহেতু সরকারের বাধ্যবাধকতা উঠে গেছে। এখন টিকিটগুলো ছাপা হয়ে আমাদের কাছে পৌঁছানোর অপেক্ষায় আছি।'

প্রথম ওয়ানডের জন্য সাগরিকার বিটাক মোড়ের বুথে টিকিট বিক্রি করছে বিসিবি। ফুল হাউজের পরিকল্পনা থাকায় পরের দুই ওয়ানডেকে সামনে রেখে বুথের সংখ্যা বাড়ানো হবে। তাছাড়া, অনলাইনে টিকিট বিক্রির চিন্তাও রয়েছে বোর্ডের।

Comments

The Daily Star  | English

Blast heard in north Tehran, main road partially closed: AFP

Israel army says struck Iran centrifuge production, weapons manufacturing sites

21h ago