ভারতীয় বিস্ময় বালকের তাক লাগানো কীর্তি

Rameshbabu Praggnanandhaa
রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ। ছবি: টুইটার

এই সময়ে দাবায় রীতিমতো অপ্রতিরোধ্য নাম নরওয়ের ম্যাগনাস কার্লসেন। বিশ্বনাথ আনন্দের কাছ থেকে যিনি নিয়ে গেছেন দাবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের তকমা। বিশ্বের এক নম্বর এই দাবাড়ু কিনা ধরাশায়ী ১৬ বছরের এক বালকের কাছে!

ভারতের রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ কার্লসেনকে হারিয়ে গড়েছেন এই অবিশ্বাস্য কীর্তি। মঙ্গলবার অনলাইন চ্যাম্পিয়নশিপে ৩৯ চালে কার্লসেনকে আটকে দেন রমেশবাবু।

২০১৬ সালে মাত্র ১০ বছর বয়েসে গ্র্যান্ডমাস্টার হয়ে সবচেয়ে কম বয়েসী গ্র্যান্ডমাস্টারের রেকর্ড গড়েছিলেন রমেশবাবু। কিন্তু এই জায়গায় না থেমে তিনি যে আরও অনেক দূর যেতে তৈরি তা দেখিয়ে দিয়েছেন এবার।

অসাধারণ এই জয়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ভীষণ শান্ত ছিলেন রমেশবাবু, 'এখন ঘুমানোর সময় হয়ে গেছে। আমার মনে হয় না রাত আড়াইটায় আর ডিনার করার দরকার হবে।'

২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বিশ্বসেরা কার্লসেনকে  হারাতে পেরেছিলেন ভারতের আনন্দ ও পেন্টালা হরিকৃষ্ণ। তাদের মধ্যে রমেশবাবুই সবচেয়ে কম বয়েসী।

পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আনন্দও টুইটারে দেন উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া, 'আমাদের প্রতিভাবানদের নিয়ে বরাবরই গর্বিত, রমেশ বাবুর জন্য খুব ভাল একটা দিন।'

চেন্নাইতে জন্ম নেওয়া রমেশবাবুর কীর্তি স্পর্শ করে গেছে ভারতীয় কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারকেও। টুইট করেছেন তিনিও,  'প্রজ্ঞার জন্য কী অসাধারণ এক অনুভূতি হচ্ছে। মাত্র ১৬ বছরে অভিজ্ঞ ও তুখোড় ম্যাগনাস কার্লসেনকে হারিয়ে দিয়েছে। এটা জাদুকরী মুহূর্ত।'

সম্প্রতি করোনাভাইরাস থেকে সেরে উঠেছেন কার্লসেন। নরওজিয়ান এই দাবাড়ু জানান করোনা পরবর্তী প্রভাবের কারণে তার শরীর কিছুটা দুর্বল ছিল,  'আজ সব ঠিক ছিল। কিন্তু প্রথম কিছু দিন মনে হচ্ছিল আমি ঠিক আছি কিন্তু আমার কোন শক্তি নেই। এমন অবস্থায় ফোকাস করা কঠিন ছিল'

গত ডিসেম্বরে কার্লসেন পঞ্চম বিশ্ব শিরোপার মুকুট করেন। রাশিয়ার ইয়ান নেপোমানিয়াচিকে আট ঘণ্টার দীর্ঘতম রোমাঞ্চকর এক লড়াইয়ে হারান তিনি।

এবারের অনলাইন এই প্রতিযোগিতায় শুরুটা ভাল ছিল না রমেশবাবুর। প্রথম তিন ম্যাচই তিনি হেরে গিয়েছিলেন। কিন্তু কার্লসেনকে সামনে পেয়ে দেখান চোখ ধাঁধানো দক্ষতা।

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

3h ago