আটকে থাকা ১৭ লাখ টাকা ফেরত পেলেন দালাল প্লাসের ১০ গ্রাহক

চাহিদা জানিয়ে অর্থ পরিশোধ করার পরও যারা পণ্য হাতে পাননি দালাল প্লাসের এমন ১০ গ্রাহক ১৭ লাখ টাকা ফেরত পেয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাদের কাছে এই অর্থ হস্তান্তর করা হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেন, প্রকৃত গ্রাহক এবং অনেক ক্ষেত্রে আছে প্রকৃত গ্রাহক ২-৪টা এজেন্টের মাধ্যমে টাকা দিয়েছেন। এটা নিশ্চিত করেই আমরা টাকা দিচ্ছি। এখানে এসএসএল কর্তৃপক্ষকে বলবো, আপনারা এ ক্ষেত্রে নিশ্চিত না হয়ে টাকা ছাড় করবেন না। কারণ এই টাকা ছাড় করতে গিয়ে অন্য একটি জটিলতা আমরা আহ্বান করতে চাই না। দেখা গেল প্রোডাক্ট ডেলিভারি হয়ে গেছে আবার টাকাও চলে গেল, তখন আরেকটা জটিলতা তৈরি হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, গেটওয়েতে যে টাকাগুলো আটকে ছিল গ্রাহকদের পণ্য ডেলিভারি না হওয়ায়, সেই টাকাগুলোই আজ ফেরত যাচ্ছে। কিউকম-এর প্রায় ২৩ কোটি টাকা গ্রাহকরা ফেরত পেয়েছেন। আলিসা মার্টের ৫ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। আজ দালাল প্লাসের ১৭ লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে। যাদের টাকা গেটওয়েতে আটকে আছে এবং প্রতিষ্ঠানের টাকা রয়েছে ধারাবাহিকভাবে প্রকৃত গ্রাহকদের ফেরত দেওয়ার প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে আমরা টাকা ছাড়ার চেষ্টা করছি।

পুলিশের বিশেষ শাখার উপমহাব্যবস্থাপক জানান, আমরা সেপ্টেম্বরে যাত্রা শুরু করেছিলাম। ৫ মাসে আমাদের কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়েছে। ৩টি কোম্পানির যথেষ্ট পরিমাণ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। মোট ৫৫৯ কোটি টাকা গেটওয়েতে আটকে আছে। এগুলো আশা করি, আমরা ফেরত দিয়ে দেবো। এটা আমরা দীর্ঘ মেয়াদী চালিয়ে যেতে পারি না। আশা করবো, বাকি যে কোম্পানিগুলো আছে তারা এগিয়ে আসবে এবং গ্রাহকদের যে টাকাগুলো আটকে আছে সেগুলো ফেরত দিতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, এখানে অনিয়ম বা অপরাধ ঘটে গেছে। অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের ছাড় নয়। যেহেতু ব্যবসাটা বাংলাদেশে নতুন, ভুল যারা করেছে আমরা চাই তারা ফিরে আসুক। আমাদের অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ হোক আমরা সেটাই আশা করি। তবে যারা অপরাধ করেছেন, মানুষের ক্ষতি করেছে তাদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

7h ago