মানবিক কারণে অ্যালিসনের জায়গায় খেলেছেন কেলেহার

ম্যাচের ফলাফল নির্ধারিত সময়েই আসতে পারতো। হতে দেননি একজন। চেলসির গোলরক্ষক এডওয়ার্ড মেন্ডি। অবিশ্বাস্য কিছু সেভে ব্লুজদের ম্যাচে রাখেন তিনি। কিন্তু টাই-ব্রেকারে তাকে বদলি করে নামানো হয় কেপা আরিসাবালাগাকে। সেই কেপাই খলনায়ক। সমালোচনা চলছে চেলসি কোচ টমাস টুখেলকে নিয়ে। অন্যদিকে দলের দ্বিতীয় গোলরক্ষক কুইভিন কেলেহারে আস্থা রেখে প্রশংসায় ভাসছেন লিভারপুল কোচ ইয়র্গেন ক্লপ। ভাসছেন এ তরুণ গোলরক্ষকও।

রোববার রাতে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে লিগ কাপের ফাইনালে টাই ব্রেকারে চেলসিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লিভারপুল। নির্ধারিত সময়ে খেলা গোলশূন্য ড্র হওয়ার পর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও ম্যাচ নিষ্পত্তি না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। শেষ পর্যন্ত ভাগ্য নির্ধারণের এ লটারিতে ১১-১০ ব্যবধানে জিতেছে ক্লপের দল।

কেপাকে শেষ মুহূর্তে মাঠে নামানো অবশ্য নতুন কিছু নয় টুখেলের জন্য। এর আগেও একাধিক ম্যাচে এমনটা দেখেছে ফুটবল বিশ্ব। সাফল্যও পেয়েছিলেন তিনি। গত লিগ কাপেই দুটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে নায়ক ছিলেন এই কেপা। কিন্তু এদিন লিভারপুলের ১০ আউটফিল্ড খেলোয়াড়ই বল জালে পাঠান। চেলসির ১০ জনও লক্ষ্যভেদ করেন। এরপর গোলরক্ষকদের পালা এলে লিভারপুল গোলরক্ষক কেলেহার বল জালে পাঠান। কিন্তু কেপার শট যায় উড়ে।

তবে চাইলে কেলেহারকে বদলে নিজেদের সেরা গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকারকে নামাতে পারতেন ক্লপ। কিন্তু মানবিক কারণে এ গোলরক্ষককে না নামিয়ে কেলেহারের আস্থা রাখেন এ কোচ, 'এমনকি পেশাদার ফুটবলেও কিছু আবেগের জায়গা থাকা উচিত। কুইভিন কেলেহার একটি ছোট ছেলে, সব প্রতিযোগিতায় খেলে, আমি কি করতে পারি? আমি দুটি জিনিস, একজন পেশাদার ম্যানেজার এবং একজন মানুষ। এবং মানুষের জয় হয়েছে। সে এটা প্রাপ্য ছিল।'

তবে যে গতিতে শুরু থেকে খেলেছে তাতে নির্ধারিত সময়েই জয় পেতে পারতো লিভারপুল। অবশ্য সুযোগ ছিল চেলসির। তবে সে জয়ের চেয়ে টাই ব্রেকারের নাটকীয়তা অর্জিত জয়ে বেশি খুশি এ জার্মান কোচ, 'এটাই শুরু, আমরা বোকা নই। আমাদের ভাগ্য থাকা দরকার - ভাগ্য আমাদের সঙ্গে ছিল। এটা ৫-৫ হতে পারতো। আমি এখন ভালো আছি কিন্তু লিভারপুলের ৯০ মিনিটে ১-০ ব্যবধানে জেতা উচিৎ ছিল। আমরা বাড়ি চলে যেতাম। তবে শেষ সময়ের অসাধারণ লড়াইয়ে এমন কিছু উদযাপন করতে পেরে আমি খুশি।'

লিগ কাপের পর এবার তাদের লক্ষ্য প্রিমিয়ার লিগ। অবশ্য মৌসুমের বাকি তিনটি প্রতিযোগিতাতেও শিরোপা জয়ের সুযোগ রয়েছে তাদের। আর এরজন্য শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন এ কোচ, 'আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আমরা বুধবার আবার খেলব, যা আমি এখন বিশ্বাস করতে পারছি না। আমরা এটা চেষ্টা করে দেখতে হবে। এটি একটি ঘরোয়া খেলা এবং এটি আজ রাতের কারণে কঠিন হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

BNP at 47: Caught between prospects and perils

The BNP has survived Sheikh Hasina’s 15-year rule, during which over a million cases were filed against its leaders and activists for trying to launch street agitations demanding elections under a non-partisan government. Thousands were jailed, including Chairperson Khaleda Zia and other top leaders.

12h ago