আগামীকাল থেকে ইলিশ ধরায় ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা

ছবি: আলম পলাশ/স্টার

আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে দেশের ৬টি অভয়ারণ্যে ইলিশ ধরা, বিক্রি ও পরিবহনে ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা শুরু হতে যাচ্ছে।

বরিশালের মৎস্য কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র দাস জানান, বরিশাল বিভাগের ৩টিসহ ৬টি জেলার ৪৩২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এ নিষেধাজ্ঞা পালিত হচ্ছে।

মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুর জেলার সাওতাল পয়েন্ট থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পয়েন্ট পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার, ভোলা জেলার চর ইলিশা থেকে চর পিয়াল পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার, ভোলা জেলার চর ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালী জেলার চর রুস্তম পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার, বরিশাল জেলার সদর, মেহেন্দিগঞ্জ ও হিজলায় ৮২ কিলোমিটার, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া ও ভেদেরগঞ্জের ২০ কিলোমিটার এবং পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আন্ধারমানিক নদীর ৪০ কিলোমিটার এলাকা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে।

মৎস্য কর্মকর্তারা জানান, কোনো বাধা ছাড়াই অভয়ারণ্যে মাছ ডিম দিতে পারলে ইলিশের জীবনচক্র সম্পন্ন হবে এবং তারা মা ইলিশে পরিণত হওয়ার সুযোগ পাবে।

জেলেরা জানান, এই সময়ে যেহেতু মাছ ধরতে পারবেন না, তাই তাদের কঠিন সময় পার করতে হবে। তারা সরকারের কাছে ১৫০ কেজি করে চাল দাবি করেছে। ছবিটি ভোলার দৌলতখান উপজেলা থেকে তোলা। ছবি: টিটু দাস

নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগেই নদী থেকে ফিরতে শুরু করেছেন জেলেরা। তারা বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞার সময়টা জাল, নৌকা ও অন্যান্য মাছ ধরার সরঞ্জাম মেরামত করবেন তারা।

জেলেরা জানান, এই সময়ে যেহেতু মাছ ধরতে পারবেন না, তাই তাদের কঠিন সময় পার করতে হবে। তারা সরকারের কাছে ১৫০ কেজি করে চাল দাবি করেছেন।

ভোলার দৌলতখান উপজেলার ইংলার ইব্রাহিম মাঝি বলেন, 'এই ২ মাসে আমরা নদীতে যেতে চাই না। কিন্তু ক্ষুধা আমাদের বাধ্য করে।'

বিভাগীয় মৎস্য অফিস সূত্র নিশ্চিত করেছে, এ বছর এই ৬ জেলার জেলেদের প্রতি ভিজিএফ কার্ডে ৪০ কেজি চাল সরবরাহ করা হবে।

কিন্তু জেলেরা জানান, ২ মাসের জন্য এই চাল যথেষ্ট নয়।

বরিশাল জেলা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি ইসরাইল পণ্ডিত বলেন, 'নিষেধাজ্ঞার ২ মাসের জন্য মাত্র ৪০ কেজি চাল অপ্রতুল। মাথাপিছু অন্তত ১৫০ কেজি চাল দিতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Chhatra Dal rally begins at Shahbagh

BNP’s Acting Chairman Tarique Rahman joined the rally virtually as the chief guest

3h ago