আউটের ধরণ থেকে অবদান রাখতে না পারায় বেশি হতাশ তামিম

ভেতরে ঢোকা বলে সামনে পা এগিয়ে এলেও মাথা থাকছে নিচে, শরীরের ভারসাম্যে গড়বড়ে ফজলহক ফারুকির বল কেড়ে নিচ্ছে তামিম ইকবালের উইকেট। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে তিন ম্যাচেই দেখা গেল একই দৃশ্য।
Tamim Iqbal
ফাইল ছবি

ভেতরে ঢোকা বলে সামনে পা এগিয়ে এলেও মাথা থাকছে নিচে, শরীরের ভারসাম্যে গড়বড়ে ফজলহক ফারুকির বল কেড়ে নিচ্ছে তামিম ইকবালের উইকেট। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে তিন ম্যাচেই দেখা গেল একই দৃশ্য। একই বোলারের বিপক্ষে একইভাবে আউট যেকোনো ব্যাটসম্যানের জন্যই বিব্রতকর হওয়ার কথা। তবে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক আউটের ধরণের চেয়ে দলে অবদান রাখতে না পারাতেই বেশি হতাশ।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতলেও পুরো ৩০ পয়েন্ট পাওয়া হয়নি। শেষ ম্যাচটি জিতে নেয় সফরকারীরা। পুরো সিরিজেই ব্যর্থ অধিনায়কের ব্যাট। বাঁহাতি পেসার ফারুকির বলে কাবু হয়ে তিন ম্যাচে তিনি করেছেন কেবল ৩১ রান।

ভেতরে ঢোকা বলে প্রথম দুই ম্যাচে হয়েছিলেন এলবিডব্লিউ, পরের ম্যাচে হন বোল্ড। তামিমের এই দুর্বলতা বেশ পুরোনো। ভেতরে ঢোকা বলে শরীরের ভারসাম্য ঠিক রাখতে না পেরে বিপর্যয়ে পড়েছেন একাধিকবার। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের দুর্বল জায়গা বের করে সেখানেই বারবার আঘাত করে সফল হয়েছেন ফারুকি।

সিরিজ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তামিম জানালেন, আউটের ধরণ নিয়ে নয়, তিনি বেশি হতাশ রান করতে না পারায়,  'আউট হওয়ার ধরনের চেয়ে আমি বেশি হতাশ যে দলে অবদান রাখতে পারিনি। ওটা নিয়ে দুর্ভাবনা বেশি নেই আমার, কারণ এই জায়গাটায় আমি আগেও আউট হয়েছি, অনেক রানও করেছি। তবে গোটা সিরিজে রান না করা ও তিনবার আউট হওয়া হতাশাজনক। কারণ নিজের ব্যাটিংকে আমি অনেক উঁচুতে মানে সেট করে রেখেছি।'

তবে এটা যে একটা দুর্বলতা সেটা মানছেন তামিম। এই ঘাটতি দূর করতে কাজ করার তাগিদও দেখছেন তিনি,  'আমার এত বড় ক্যারিয়ারে খুব কম সময়ই গোটা সিরিজে রান করতে পারিনি। আগে হয়তো দু-একবার হয়েছে এমন। হ্যাঁ, আমি হতাশ। বিশেষ করে আমার কাছে মনে হয়, এক বোলারের বলেই বারবার… এটা মনে নেওয়ায় লজ্জার কিছু নেই যে, সে আমাকে হারিয়ে দিয়েছে। এটা নিয়ে কাজ করতে হবে মনে হয়।'

'একই ধরনের ডেলিভারিতে তিনবার আউট হয়েছি বলেই যে কাজ করতে হবে, এমন নয়। কারণ, ওই জায়গায় আমি অনেক রানও করেছি। হয়তো আমাকে আরেকটু ভালো করতে হবে। একটু ভালো হতে হবে।'

তিন ম্যাচের দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে এরচেয়ে কম রান করার নজির আছে তার আরও তিনবার। ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন ৪ রান। ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচে করেন ১০ রান। সেবছরই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচে কররেছিলেন ২১ রান। ৩ ম্যাচের সিরিজে একশো রানের নিচে করার নজির তামিমের অনেকবার। সব মিলিয়ে ৩৪টি ৩ ম্যাচের সিরিজ খেলে ২১ বারই ১০০ রানের বেশি করতে পারেননি। 

Comments

The Daily Star  | English
Workers rights vs corporate profits

How some actors gambled with workers’ rights to save corporate profits

The CSDDD is the result of years of campaigning by a large coalition of civil society groups who managed to shift the narrative around corporate abuse.

12h ago