এখনই চালু হচ্ছে না জিপির ই-সিম

ছবি: সংগৃহীত

ই-সিম পরিষেবা চালুর ঘোষণা দিলেও তা স্থগিত রেখেছে গ্রামীণফোন (জিপি)। চলতি মাসের ৭ তারিখে প্রাথমিকভাবে পরিষেবাটি চালু করার ঘোষণা দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত গ্রাহকের হাতে পৌঁছায়নি ই-সিম। 

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) গত সপ্তাহে গ্রামীণফোনের এই পরিষেবাটি চালুর অনুমতি না দেওয়ায় ই-সিম চালুর প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানিয়েছে, ই-সিম চালু করা হলে নতুন ইস্যু করা সিম থেকে রাজস্ব সংগ্রহে ঝামেলা হবে বলে বিটিআরসিকে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে এনবিআর।
 

বিটিআরসির ভাইস-চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেছেন, 'আমরা বিটিআরসিতে নতুন প্রযুক্তিকে স্বাগত জানাই কিন্তু একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসাবে আমাদের প্রযুক্তিকে যেমন মূল্যায়ন করতে হবে একই সঙ্গে ব্যবহারকারীদের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলবে সেটাও দেখতে হবে। এ কার আমরা ই-সিম পরিষেবার ঘোষণা প্রত্যাহার করেছি।'

যোগাযোগ করা হলে, জিপির চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) হোসেন সাদাত দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সিস্টেম চালু থাকা সত্ত্বেও কিছু অনিবার্য পরিস্থিতির কারণে গ্রামীণফোন ই-সিম পরিষেবা চালুর সময় পিছিয়ে দিয়েছে। আমরা সংশোধিত তারিখ চূড়ান্ত করতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছি।'

কবে নাগাদ পরিষেবাটি চালু হতে পারে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামি সপ্তাহে জিপির একটি মিটিং আছে। আলোচনার পর কখন আমরা ই-সিম চালু করতে পারবো সে বিষয়ে একটি সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করতে পারব।
 
ই-সিমের পূর্ণ রূপ হলো এমবেডেড সাবস্ক্রাইবার আইডেনটিটি মডিউল। প্রচলিত প্লাস্টিকের সিমকার্ডের মতো এই সিম সহজে খোলা ও পরিবর্তনের সুযোগ নেই। সিমটি সরাসরি মোবাইল ফোনের মাদারবোর্ডে যুক্ত থাকে। শুধু আগে থেকে ইনস্টল করা ডিভাইসগুলোতেই ই-সিম কাজ করে। 

আমাদের প্রতিবেশী বেশ কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যে এই সেবা চালু করেছে। সেবাটি চালু হলে গ্রামীণফোন হবে বাংলাদেশের প্রথম ইসিম সেবা প্রদানকারী সংস্থা। 
 

Comments

The Daily Star  | English

‘Comments of some parties raising questions in people’s mind’

Tarique calls for solidarity at Swechchhasebak Dal anniversary event

1h ago