প্রথমবারের মতো আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া

ছবি: দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট

পশ্চিমা নেতারা যখন নিরাপত্তা সম্মেলনের জন্য ইউরোপে সমবেত হয়েছেন, ঠিক সে সময় আন্তঃমহাদেশীয় ব্যলিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। প্রায় ৪ বছরের বেশি সময় ধরে উত্তর কোরিয়া এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার জাপানের পশ্চিম উপকূলে আছড়ে পড়ার আগে সন্দেহজনক ক্ষেপণাস্ত্রটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬ হাজার কিলোমিটার (৩ হাজার ৭২৮ মাইল) উচ্চতায় এবং ১ হাজার ৮০ কিলোমিটার (৬৭১ মাইল) দূরত্বে সেটি উৎক্ষেপণ করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাপানের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাকোতো ওনিকি বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'উচ্চতা থেকে বোঝা যাচ্ছে এটি একটি 'নতুন ধরনের আইসিবিএম'। ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনের অভ্যন্তরে পড়েছে। যেটি জাপানের উত্তরাঞ্চলের প্রধান দ্বীপ হোক্কাইডোর ওশিমা উপদ্বীপের ১৫০ কিলোমিটারের (৯৩ মাইল) মধ্যে বলে নিশ্চিত করেছে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি চলতি বছর উত্তর কোরিয়ার ১১তম ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা। যার মধ্যে গত ১৬ মার্চ তারা একবার ব্যর্থ হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

২০১৭ সালের নভেম্বর থেকে তারা দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা শুরু করে। সে সময় তারা ৪ হাজার ৪৭৫ কিলোমিটার (২ হাজার ৮০০ মাইল) উচ্চতায় একটি হুয়াসং-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।

দুই মিত্র দেশ দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'এ ধরনের পরীক্ষা অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা সৃষ্টি করে এবং ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তোলে।' 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বর্তমানে বেলজিয়ামে রয়েছেন, যেখানে তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন।

বিশ্লেষকদের মতে, উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ফলে দেশটির নেতা কিম জং উন ক্রমবর্ধমান অশান্ত বিশ্বকে পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষমতা দেখানোর চেষ্টা করছেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

Yunus meets Chinese ambassador to review China visit, outline next steps

Both sides expressed a shared commitment to transforming discussions into actionable projects across a range of sectors

40m ago