সাভারে নিখোঁজের ১০ দিন পর কলেজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

সাভারে নিখোঁজের ১০দিন পর একটি পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে সাকিব আল মাহমুদ (১৮) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের এক বন্ধুকে আটক করা হয়েছে।
সাকিব সাভারের বনগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম কোটাপাড়া এলাকার কাঞ্চন মিয়ার ছেলে ও মিরপুর মফিদিয়াম স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাড়ি থেকে কিছু দূরত্বে অবস্থিত একটি পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক ও ভবানীপুর পুলিশ ক্যম্পের ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, 'প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের এক বন্ধুকে আটক করেছি। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।'
নিহত সাকিবের দুলাভাই লুৎফর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত ১৭ মার্চ রাত ৯টার দিকে একটি ফোন পেয়ে সাকিব বাসা থেকে বের হয়। তারপর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল। এর পরদিন আমরা সাভার মডেল থানায় জিডি করি। জিডির পর সাকিবের বন্ধু পেয়াশ আমাদের জানায় সাকিবের সঙ্গে ওর মেসেঞ্জারে কথা হয়েছে। পেয়াশ দাবি করে যে, সাকিব তাকে একটি মেয়ে নিয়ে আত্মগোপনে থাকার কথা জানিয়েছে। বলেছে যে, ওর কিছু টাকা লাগবে।'
'সাকিবের সঙ্গে কথা হয়েছে এটি বিশ্বাস করে আমরা ভাবি সাকিব ফিরে আসবে কিন্তু আজ সাকিবের মরদেহ উদ্ধার হলো। মরদেহ দেখে মনে হচ্ছে সাকিব যে দিন নিখোঁজ হয়েছে সেদিনই ওকে হত্যা করা হয়ছে। সাকিবের বন্ধুরাই সাকিবকে হত্যা করেছে,' দাবি করেন তিনি।
Comments