সাভারে কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় ৩ দিনের রিমান্ডে বন্ধু

সাভারে সেপ্টিক ট্যাঙ্ক থেকে কলেজ ছাত্র সাকিব আল হাসান (১৮) হত্যাকাণ্ডে তার এক বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
এই ঘটনায় নিহতের বড়ভাই রাকিব মিয়া আজ সাকিবের বন্ধু আব্দুর রহমান পিয়াস, ইমন, ও নাবিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সাভার মডেল থানায় এই মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় গ্রেপ্তার আব্দুর রহমান পিয়াসকে আজ ৩ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন ঢাকার এক আদালত।
১০ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর গতকাল শনিবার মিরপুর মফিদিয়াম স্কুল অ্যান্ড কলেজর দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাকিবের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সাভারের পশ্চিম কোটাপাড়া এলাকায় তার বাসা থেকে অদূরে একটি পরিত্যক্ত বাড়ির সেপ্টিক ট্যাঙ্কে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, সাকিব করোনার সময়টায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন কাজ নিয়েছিলেন। তখন তার হাতে কিছু টাকা জমেছিল। এর মধ্যে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু আব্দুর রহমান পিয়াস কিছু টাকা ধার নিয়েছিলেন।
তাদের দাবি, ধারের টাকা ফেরত চাওয়ায় সাকিবকে হত্যা করে লাশ গুম করার চেষ্টা করা হয়।
শনিবার সন্ধ্যায় মরদেহ উদ্ধারের পর সাকিবের বন্ধু পিয়াসকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা ছুরি উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
সাভার মডেল থানার ওসি কাজী মঈনুল ইসলাম বলেন, পাওনা টাকার জন্যই বন্ধুরা বন্ধুকে হত্যা করেছে। ঘটনার সঙ্গে নিহতের একাধিক বন্ধু জড়িত ছিল। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পুলিশের বক্তব্য ও মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ১৭ মার্চ রাত ৯টার দিকে ফোন পেয়ে সাকিব বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তার খোঁজ মিলছিল না। নিখোঁজ হওয়ার পরদিন সাকিবের ভাই সাভার মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডি করার পরদিন র্যাব কার্যালয়ে গিয়েও অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
Comments