ইবনে বতুতার বইয়ের নামে কাতার বিশ্বকাপের ফুটবল

আবু আবদুল্লাহ মোহাম্মদ ইবনে বতুতা। তার সম্পর্কে জানেন প্রায় কম বেশি সবাই। প্রায় সমগ্র মুসলিম বিশ্ব ভ্রমণ করা এ পরিব্রাজক অমর হয়ে আছেন তার 'আল রিহলা' গ্রন্থের জন্য। সেই বিখ্যাত বইয়ের নামেই এবার কাতার বিশ্বকাপের বলের নাম রাখা হয়েছে।

নিজের ভ্রমণ ও জীবনের গল্প নিয়ে ১৩৫৫ সালে রিহলা নামক বইটি প্রকাশ করেছিলেন বতুতা। আরব শব্দ রিহলার অর্থ ভ্রমণ। এবার অ্যাডিডাস কোম্পানির বল রিহলা তেমনই ভ্রমণ করবে লিওনেল মেসি, ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, কিলিয়ান এমবাপে, রবার্ট লেভানদভস্কি, নেইমারদের পায়ে। বিশ্বকাপের সাত মাস আগে উন্মোচন করা হলো এ বল।

১৯৭০ সাল থেকে  বিশ্বকাপের বল তৈরির দায়িত্বে থাকে ক্রীড়াসামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস। এ নিয়ে ১৪তম বারের মতো বিশ্বকাপের বল তৈরি করলো এই প্রতিষ্ঠানটি। বলটিকে জনসমক্ষে নিয়ে আসবেন ইকার ক্যাসিয়াস, কাকা, ফারাহ জেফরির মতো কিংবদন্তিরা। এরপর মূল মঞ্চে নামার আগে রিহলা ঘুরবে বিশ্বের ১০টি শহরে।

প্রতিটি বিশ্বকাপের বল তৈরি ও তার নামকরণের নেপথ্যে বিশেষ কোনো ভাবনা বা গল্প থাকে। এবার কাতারের সংস্কৃতি, স্থাপনা, ঐতিহ্যবাহী নৌকা ও পতাকা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বলটির নাম 'আল রিহলা' রাখা হয়েছে বলে নিজেদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।

একই সঙ্গে নতুন এ বলের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কেও জানিয়েছে ফিফা। বিশ্বকাপ ইতিহাসে বাতাসে সবচেয়ে দ্রুততম বল হবে এই 'আল রিহলা'। ম্যাচকে আরও গতিময় ও নিখুঁত করতে বলটির নকশা এভাবে করা হয়েছে বলে জানান অ্যাডিডাসের ফুটবল গ্রাফিক্স এবং হার্ডওয়্যার বিভাগের ডিজাইন ডিরেক্টর ফ্রান্সিসকো লোফেলমান।

'আল রিহলা' নিয়ে বেশি আশাবাদী ফিফার মার্কেটিং ডিরেক্টর জঁ-ফ্রাঁসোয়া পাথি, 'অ্যাডিডাসের কাছ থেকে দেখতে অসাধারণ, টেকসই, অনেক উঁচু মানসম্পন্ন একটা ম্যাচ বল এটি। কাতারে বিশ্ব শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে নিজেদের সেরা ছন্দে থাকা বিশ্বের সেরা তারকারা এই বলে খেলা উপভোগ করবেন। উপভোগ করবেন বিশ্বজুড়ে তৃণমূল পর্যায়ের খেলোয়াড়রাও।'

অনেক ধরনের বিশ্লেষণের পরই বলটি তৈরি করেছে অ্যাডিডাস। নিজেদের পরীক্ষাগারে বিশেষভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। গতিপথ বুঝতে বাতাসের টানেলে ভাসিয়ে দেখা হয়েছে এ বলটি। এমনকি এরমধ্যে এই বলে খেলে দেখেছেন ফুটবলাররাও। সব পর্যবেক্ষণ শেষে বলটির ওপর আস্থা রেখেছে ফিফা।

Comments

The Daily Star  | English

July charter: Commission likely to push parties for legally binding deal

Following demands from several parties, including Jamaat-e-Islami, National Citizen Party, and Islami Andolan Bangladesh, the National Consensus Commission is considering a proposal to make the July National Charter a legally binding document.

8h ago