সাফল্যের শীর্ষে যারা কখন ঘুমান তারা

ঘুমের চেয়ে পরিশ্রমকে প্রাধান্য দেওয়াই সাফল্যের চাবিকাঠি, এ ধারণা খুব দ্রুত বাতিলের খাতায় চলে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে, পুষ্টি ও ব্যায়ামের পাশাপাশি ঘুম আমাদের সার্বিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ঘুমের চেয়ে পরিশ্রমকে প্রাধান্য দেওয়াই সাফল্যের চাবিকাঠি, এ ধারণা খুব দ্রুত বাতিলের খাতায় চলে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে, পুষ্টি ও ব্যায়ামের পাশাপাশি ঘুম আমাদের সার্বিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব স্লিপ মেডিসিন পরামর্শ দিয়েছে, প্রাপ্ত বয়স্কদের ন্যুনতম ৭ ঘণ্টা ঘুম অবশ্য প্রয়োজন। আমেরিকার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি মানুষ এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হন।

ড. নাথানিয়েল এফ ওয়াটসন বলেন, 'আমাদের সমীক্ষা প্যানেল জানতে পেরেছে, ৬ ঘণ্টা বা তার চেয়ে কম ঘুম প্রাপ্তবয়স্কদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে যথেষ্ট না।'

'তারা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৭ ঘণ্টা বা তার চেয়ে বেশি সময় ঘুমের সুপারিশ করেছেন', যোগ করেন তিনি।

তাদের মতে, ঘুমের নিয়মিত রুটিন তৈরি করলেও উপকার পাওয়া যায়।

সারা বিশ্বে জনপ্রিয়তা পাওয়া বই 'হোয়াই উই স্লিপ (আমরা কেন ঘুমাই)' এর লেখক এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলির স্নায়ুবিজ্ঞান বিষয়ের অধ্যাপক ম্যাথু ওয়াকার ব্যাখ্যা করেন, 'এখন সবাই ঘুমানোর ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রাখার সুপারিশ করছেন। সপ্তাহের ৭ দিনই ঘুমে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে, সেটা ছুটি হোক বা কর্মদিবস।'

সারা সপ্তাহ কম ঘুমিয়ে ছুটির দিনগুলোতে অতিরিক্ত ঘুমিয়ে নেওয়ার প্রবণতাকে 'স্লিপ বুলিমিয়া' অভিহিত করে তিনি জানান, এটা কোনো কার্যকর সমাধান নয়।

'দুর্ভাগ্যজনক ভাবে, ঘুমানোর বিষয়টাকে আপনি ব্যাংকিং এর সঙ্গে মেলাতে পারবেন না। বিষয়টা এরকম নয় যে, আপনি ঋণ নিতে থাকবেন এবং পরবর্তী কোনো এক সময় তা একবারে মেটানোর চেষ্টা করবেন', যোগ করেন তিনি।

সফল ব্যক্তিত্বদের ঘুমের রুটিন

ব্যবসা জগতের সফল ব্যক্তিত্বদের ঘুমের রুটিনের খবর দিয়েছে দ্য সিইও ম্যাগাজিন। তারা প্রায় সবাই তাদের সাফল্যের পেছনে দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের ভূমিকাকে বড় করে দেখছেন।

ওপরাহ উইনফ্রে

বিশিষ্ট টক শো সঞ্চালক, লেখিকা ও জনহিতৈষী ব্যক্তিত্ব ওপরাহ রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টার পর্যন্ত ৮ ঘণ্টা ঘুমান।

সকালে ঘুম থেকে উঠেই মোবাইল ফোন হাতে নেওয়ার বদঅভ্যাস তিনি ছেড়েছেন। এর পরিবর্তে তিনি প্রথমে দাঁত ব্রাশ করেন এবং তারপর পোষা কুকুরদের যত্ন নেওয়ার পেছনে সময় দেন। এরপর তিনি শরীরচর্চা করার জন্য জিমে যান।

মার্কিন সংবাদ মাধ্যম দ্য হলিউড রিপোর্টারকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'আমি কোনোদিন অ্যালার্ম ব্যবহার করিনি। আমি এতে বিশ্বাসই করি না।'

সকালবেলায় ঘুম ভাঙার পর আমার প্রথম চিন্তা, ''ওহ! আমি এখনও বেঁচে আছি। সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ!'', যোগ করেন ওপরাহ।

তার বিছানার পাশে সাধারণত বেশ কিছু গ্র্যাটিচিউড জার্নাল (ধন্যবাদ জ্ঞাপন সূচক লেখা লেখার জন্য ডায়েরি) রাখা থাকে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে সারাদিনে যে ঘটনাগুলো তাকে আনন্দ দিয়েছে অথবা যে ঘটনাগুলোর জন্য তিনি কৃতজ্ঞ, এরকম ৫টি ঘটনা নিয়ে তিনি এই জার্নালে লেখালেখি করেন।

তিনি জানান, তার এই রুটিনের পেছনে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন লেখক ডা. মাইকেল ব্রিউস। ব্রিউস বিশ্বাস করেন, 'ভালো ঘুম ঘুমাতে পারার চাবিকাঠি হচ্ছে আপনি ঘুমানোর আগের কয়েকটি মূল্যবান ঘণ্টায় কী কী করছেন, তার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া।'

জেফ বেজোস

আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী চেয়ারম্যান জেফ বেজোস স্বীকার করেন, তিনি দিনে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর বিষয়টিকে ভীষণ প্রাধান্য দেন, যদিও মাঝে মাঝে ব্যাপারটা অসম্ভবের পর্যায়ে চলে যায়।

দ্য ইকোনমিক ক্লাব অব ওয়াশিংটনকে তিনি বলেন, 'আমার জন্য ৮ ঘণ্টার ঘুম প্রয়োজন। এতে আমি আরও ভালো করে চিন্তা করতে পারি, আরও বেশি উদ্যমী থাকি—সর্বোপরি, মন ভালো থাকে।

বেজোস একইসঙ্গে তার হাতে থাকা সময়কে কৌশলের সঙ্গে ব্যবহার করেন। তিনি দুপুরের খাবারের আগেই বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষ করেন।

তিনি জানান, সবচেয়ে কার্যকর মিটিংগুলো সকাল ১০টায় হয়।

বিকেল ৫টার দিকে কোনো মিটিংয়ে অংশ নিলে বেজোস ভাবেন, 'আজ আর এ বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে পারছি না। আগামীকাল সকাল ১০টায় আবারও চেষ্টা করা যাক।'

সকালে ঘুম থেকে উঠে তিনি সংবাদপত্র পড়েন এবং নিজের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কফি পান করেন।

তিনি আরও জানান, 'আমার কাছে সকালের ছোটখাটো কম ঝামেলাপূর্ণ কাজগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য আমি সকাল ১০টার আগে কখনোই দিনের প্রথম মিটিং শুরু করি না।'

জ্যাক মা

চীনা ইকমার্স সাইট আলিবাবার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধান নির্বাহী জ্যাক মা কখনোই তার দিনের উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তাগুলোকে রাতে শান্তিপূর্ণ ঘুমের প্রতি অন্তরায় হিসেবে দেখেন না।

মা জানেন, ব্যবসার ক্ষেত্রে সব সময়ই কোনো না কোনো চ্যালেঞ্জ থাকবে, যেগুলোর বিরুদ্ধে জয়ী হয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তবে তিনি এ ধরনের প্রতিবন্ধকতাগুলোকে ঘুমের রুটিনে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে দিতে রাজি নন।

২০১৯ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে দেওয়া বক্তব্যে তিনি উপদেশ দেন, 'পরিস্থিতি যেরকমই হোক না কেন, ভালো করে ঘুমাতে হবে।'

'আমি জানি, আমার ভালো ঘুম না হলেও সমস্যাগুলো সমস্যার জায়গাতেই থেকে যাবে। সেক্ষেত্রে যদি আমার ঘুম ভালো হয়, তাহলে আগামীকাল সেগুলো নিয়ে কাজ করার আরেকটি সুযোগ পাব', যোগ করেন তিনি।

ইলন মাস্ক

স্পেস এক্স, টেসলা, নিউরালিংক ও দ্য বোরিং কোম্পানিসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব থাকা সত্ত্বেও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক প্রতিদিন রাতে কমপক্ষে ৬ ঘণ্টা ঘুমানোর বিষয়টি নিশ্চিত রাখেন।

কিছুটা স্রোতের বিপরীতে গিয়ে তিনি দাবি করেন, ৬ ঘণ্টা ঘুমই যথেষ্ট।

তিনি জো রোগান এক্সপিরিয়েন্স পডকাস্টে ব্যাখ্যা করেন, 'আমি এর চেয়ে কম ঘুমানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু তাতে সামগ্রিকভাবে আমার কাজ করার ক্ষমতা কমে যায়। তবে আমার কখনো মনে হয়নি আমি ৬ ঘণ্টার চেয়ে বেশি ঘুমাতে চেয়েছি।'

'আমি প্রচুর কাজ করি। সাধারণত আমি রাত ১টা বা ২টা পর্যন্ত কাজ করি। শনিবার ও রোববার সাধারণত এত রাত জাগি না। তবে কখনো কখনো জাগতে হয়', যোগ করেন তিনি।

আরিয়ানা হাফিংটন

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সুপরিচিত নাম আরিয়ানা। বিশিষ্ট লেখিকা ও ব্যবসায়ী আরিয়ানা 'স্লিপ রেভোল্যুশন' নামের একটি বই লিখেছেন।

অন্য অনেকের মতো, তিনি কষ্টদায়ক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গিয়ে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে কম ঘুমানোর কারণে একদিন তিনি হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান।

২০১০ সালের টেড টক অনুষ্ঠানে তিনি ব্যাখ্যা করেন, 'প্রচণ্ড ক্লান্ত হয়ে আমি একবার জ্ঞান হারিয়েছিলাম। টেবিলে আমার মাথা ঠুকে যায়। আমার গালের হাড় ভেঙে যায় এবং ডান চোখে ৫টি সেলাই পড়ে। তখন থেকে আমি ভালো করে ঘুমানোর মূল্য নতুন করে আবিষ্কারের প্রয়োজন অনুভব করি।'

টেড টকে তার বক্তব্যের শিরোনাম ছিল 'কীভাবে সফল হবেন? আরও বেশি ঘুমান।'

আরিয়ানা বিশ্বাস করেন, ঘুমের সঠিক রুটিন মানুষকে আরও কর্মক্ষম করতে পারে এবং তাকে উজ্জীবিত করে আনন্দে পরিপূর্ণ জীবন যাপন করার সুযোগ এনে দিতে পারে।

মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনবিসিকে তিনি বলেন, 'আমরা এমন একটি সংস্কৃতির মাঝে বসবাস করছি, যেখানে সবার মধ্যে একটি ভুল ধারণা আছে, যে উন্নতি করতে হলে আমাদেরকে শক্তি নিঃশেষ না হওয়া পর্যন্ত কাজ করতে হবে।'

দিনে ৮ ঘণ্টা করে ঘুমানোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তিনি একটি রুটিন অনুসরণ করেন।

তিনি জানান, 'ঘুমের জন্য আমি শুরুতেই সব ধরনের ডিভাইস বন্ধ করে সেগুলোকে বেডরুম থেকে বের করে দেই। এরপর আমি ঘুমাতে যাওয়ার আগে শুধুমাত্র একটি বই (ই-বুক নয়) হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ পড়ি। কোনো ধরনের স্ক্রিনের দিকে তাকাই না এবং এমন বই পড়ি, যেগুলোর সঙ্গে কাজের যোগসূত্র নেই।

টোবি লুটকে

ইকমার্স প্রতিষ্ঠান শপিফাই এর সিইও ও প্রতিষ্ঠাতা টোবি সবসময় কাজ ও পারিবারিক জীবনের মধ্যে সমন্বয় রক্ষার পক্ষে প্রচারণা চালান। তিনিও ঘুমানোর জন্য সুনির্দিষ্ট রুটিন অনুসরণ করার পরামর্শ দেন।

তিনি এক টুইটার বার্তায় বলেন, 'আমি আমার জীবনে কখনো সারা রাত জেগে কাজ করিনি। শুধুমাত্র তখনই আমি সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টার বেশি কাজ করেছি, যখন কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে প্রবল ভাবে উৎসাহী ছিলাম। প্রতিদিন রাতে আমার ৮ ঘণ্টার ঘুম প্রয়োজন। বাকি সবার জন্যেও ব্যাপারটা একই, আমরা তা স্বীকার করি বা না করি।'

'আমি প্রতিদিন বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটের মধ্যে বাসায় চলে আসি। আমি ছুটির দিনে ব্যবসার কাজে কোথাও যাই না। কখনো একা, কখনো পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এবং ইদানীং আমার সন্তানদের সঙ্গে ভিডিও গেম খেলে সময় কাটাই। আমার চাকরিটা অসাধারণ, কিন্তু এটি শুধুই একটি চাকরি। পরিবার এবং নিজের স্বাস্থ্য আমার প্রাধান্যের তালিকায় অনেক বেশি এগিয়ে থাকে', যোগ করেন টোবি।

এ ধরনের চিন্তাধারার কারণে টোবি ঘুম ও বিশ্রামের জন্য প্রচুর সময় পান।

ওয়ারেন বাফেট

ধনাঢ্য বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট ঘুমকে ভীষণ গুরুত্ব দেন এবং টানা ৮ ঘণ্টার নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের জন্য প্রতিদিন রাত পৌনে ১১টার মধ্যে শুয়ে পড়েন।

তিনি মনে করেন, এই অভ্যাসটা বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দিনের ৮০ শতাংশ সময় তিনি ব্যয় করেন পড়াশোনা করে, যার জন্য প্রচুর মানসিক শক্তি প্রয়োজন।

সংবাদ মাধ্যম পিবিএসকে তিনি বলেন, 'আমি প্রচুর ঘুমাই। আমি ঘুমাতে পছন্দ করি, যার কারণে আমি সাধারণত রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাই।'

বিল গেটস

মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস খুব ভালো করে জানেন, ভালো স্বাস্থ্য ও সৃজনশীল চিন্তাধারা বজায় রাখার জন্য ঘুম কতটা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

তিনি তার ব্লগে লিখেছেন, 'মাইক্রোসফটের শুরুর দিনগুলোতে আমি সারা রাত জেগে কাজ করতাম, বিশেষ করে যখন আমাদের কোনো একটি সফটওয়্যার তৈরি করে গ্রাহকের কাছে সরবরাহ করার সময়সীমা এগিয়ে আসতো।'

বিল আরও বলেন, 'তখন আমি মূলত ক্যাফেইন ও অ্যাড্রিনালিনের ওপর ভরসা করে কাজ করছিলাম। আমি জানতাম আমার কাজ খুব ভালো হচ্ছে না। কিন্তু যেহেতু আমি কাজপাগল মানুষ ছিলাম, আমার কাছে মনে হতো বেশি ঘুমানো অলসতার পরিচায়ক।'

তবে ম্যাথু ওয়াকারের 'হোয়াই উই স্লিপ' বইটা পড়ার পর থেকে বিল গেটসের চিন্তাধারা বদলে যায়।

বিল ডা. টমাস রথের উধৃতি দিয়ে লেখেন, 'যেসব মানুষ ৫ ঘণ্টা বা তার চেয়ে কম ঘুমিয়েও কোনো শারীরিক সমস্যা ছাড়া বেঁচে থাকতে পারে, তাদের সংখ্যা শূন্য।'

ভালো ঘুম নিশ্চিত করার জন্য বিল গেটস কিছু টিপস দিয়েছেন তার ব্লগে।

এর মধ্যে আছে, বেডরুমে কোনো এলইডি বাল্ব না রাখা, ঘুমানোর আগে মদ্যপান সীমিত রাখা, সম্ভব হলে দিনের মাঝামাঝি সময়ে একটু ঘুমিয়ে নেওয়া এবং ঘরের তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে রাখা।

পরিশেষ

আগেও এ বিষয়ের ওপর অনেক গবেষণা হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে। সব গবেষণা থেকে একটা বিষয় বারবার উঠে আসছে। সুসাস্থ্য ও কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করতে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমের রুটিন অত্যন্ত জরুরি। নাওয়া খাওয়া ঘুম ফেলে দিন-রাত কাজ করলেই সাফল্য আসবে, এই ধারণা থেকে দ্রুত বের হয়ে আসছে উন্নত বিশ্বের সব দেশ।

বাংলাদেশেও এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে প্রচারণা চালানো উচিত।

Comments

The Daily Star  | English

Horrors inside the Gaza genocide: Through a survivor’s eyes

This is an eye-witness account, the story of a Palestinian in Gaza, a human being, a 24-year-old medical student, his real human life of love and loss, and a human testimony of war crimes perpetrated by the Israeli government and the military in the deadliest campaign of bombings and mass killings in recent history.

22h ago