মোস্তাফিজের এক ওভার থেকে ২৮ রান নিলেন কার্তিক
আঁটসাঁট বল করে দলকে ভালো অবদান রেখে চলেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম ৩ ওভারে দিয়েছিলেন কেবল ২০ রান। কিন্তু দিনেশ কার্তিকের তাণ্ডবে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের পেসার পুড়লেন হতাশায়। তার শেষ ওভার থেকে ৪ বাউন্ডারি, দুই ছক্কায় ২৮ রান নিয়ে নেন কার্তিক।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে মোস্তাফিজ তাই থাকলেন ভীষণ খরুচে। তার ৪ ওভার থেকে এলো ৪৮ রান। যাতে বড় অবদান দুর্দান্ত ছন্দে থাকা কার্তিকের।
শনিবার এই ডানহাতির ৩৪ বলে ৬৬ রানের ঝড়ে আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ১৮৯ রানের পুঁজি পায় বেঙ্গালুরু। তার আগে ৩৪ বলে ৫৫ করে দলকে বড় রানের ভিত পাইয়ে দিতে ভূমিকা রাখেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও। পরে রান তাড়ায় মোস্তাফিজদের দিল্লি ক্যাপিটালস করতে পারে ১৭৩ রান, ম্যাচ হারে ১৬ রানে।
টস জিতে ফিল্ডিং বেছে ম্যাচের প্রথম ওভারে বল হাতে নিয়ে ৪ রান দেন মোস্তাফিজ। তার তৃতীয় বলকে ফাইন লেগ দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠান ফাফ দু প্লেসি। ওভারের বাকি সব বল হয় ডট।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আবার বল হাতে পান মোস্তাফিজ। তবে ম্যাক্সওয়েলের সামনে সফল হননি। মোস্তাফিজকে ওই ওভারে দুই বাউন্ডারি মারেন ম্যাক্সি, আরও দুই সিঙ্গেলে আসে ১০ রান।
১৬তম ওভার বল করতে এসে আবার দারুণ রান আটকে রাখার কাজ করেন ফিজ। কার্তিক, শাহবাজ আহমেদ মিলে তার ওভার থেকে নিতে পারেননি ৫ রানের বেশি। ৩ ওভার থেকে ২০ দিয়ে বেশ জুতসই অবস্থায় ছিলেন বাংলাদেশের পেসার। পরের ওভারে তার উপর ঝড় বইয়ে সব এলোমেলো করে দেন কার্তিক।
১৭তম ওভারের প্রথম বলটা অ্যাংঙ্গেলে ওয়াইড লাইনে করেছিলেন ফিজ। কার্তিক সরে গিয়ে স্কুপ করতে গিয়ে পুরো ব্যাটে নিতে না পারলেও বাইরের কানায় লেগে থার্ড ম্যান দিয়ে পেয়ে যান বাউন্ডারি। পরের বলে আসে বিস্ময়কর এক শট। মোস্তাফিজের বলের গতি পড়ে রিভার্স আপারকাটে (রিভার্স পুল বললেও ভুল হয় না) সীমানা ছাড়া করেন কার্তিক।
তৃতীয় বলে বাউন্ডারি আসে প্রথাগত কাভার ড্রাইভে। চতুর্থ বল লঙ অনের উপর দিয়ে ছক্কায় উড়ান অভিজ্ঞ কার্তিক। পঞ্চম বলে ছক্কা আসে লং অফ দিয়ে। শেষ বলটাতেও রেহাই দেননি। লো ফুলটসকে মিড অফ দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠিয়ে ২৮ বলে আরেকটি পঞ্চাশ স্পর্শ করেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর এই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান। ৩৪ বলের এই বিস্ফোরণে ৫টি করে চার-ছক্কা মেরেছেন কার্তিক।
Comments