ক্রিকেটারদেরই ফিটনেস নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে: সুজন

Khaled mahmud sujon
ফাইল ছবি: স্টার

'আমার দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড় আনফিট। এনার্জি তিন-চার ম্যাচের জন্যই ছিল। এরপর আর ছিল না।' প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের খেলোয়াড়দের নিয়ে এমন বড় অভিযোগই করেছেন কোচ সালাহউদ্দিন। তবে এ চিত্রটা কেবল প্রাইম ব্যাংকের ক্ষেত্রেই নয়, এবার প্রায় সব দলের খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে।

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে এবার মূল আলোচনাই খেলোয়াড়দের ফিটনেস নিয়ে। অধিকাংশ ম্যাচেই বেশ সংগ্রাম করতে দেখা গিয়েছে অনেক ক্রিকেটারকে। বিশেষকরে ফিল্ডিংয়ের সময়। টানা পুরো ৫০ ওভার ফিল্ডিং করতে পেরেছেন কম ক্রিকেটারই।

প্রিমিয়ার লিগের আসর শুরুর আগেও বর্তমানে খুব বেশি সময় পান না কোচরা। দল গোছানো হয় প্রায় লিগ শুরু আগে। যে কারণে দলীয়ভাবে করাটা বেশ কঠিনই মনে করেন জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর ও আবাহনী লিমিটেড কোচ খালেদ মাহমুদ। খেলোয়াড়দের নিজেদের ফিটনেস নিয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

রোববার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমী মাঠে খেলোয়াড়দের ফিটনেস প্রসঙ্গ নিয়ে সুজন বলেন, 'আমার মনে হয় ক্রিকেটারদের সতর্ক থাকতে হবে। আমি মনে করি জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা খুবই সচেতন। পুরো দেশের ক্রিকেটাররাই এখন সচেতন যে ফিটনেস এখন একটা গুরুত্বপূর্ণ স্ট্যান্ডার্ড। প্রতি লিগের আগেই তো এখন টেস্ট হয়। এটা সবাই জানে। তো এখানে সেলফ ম্যানেজমেন্ট টা গুরুত্বপূর্ণ।'

তবে ফিটনেস ইস্যুতে সালাহউদ্দিনের আনা অভিযোগের সঙ্গেও একমত এ কোচ, 'সে (সালাহউদ্দিন) সঠিক বলেছে। তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে আমাদের যে সূচি হয়, এমন ভাবে হয় যে সময়টাই পাওয়া যায় না ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে কাজ করার। যেমন প্রিমিয়ার লিগে আগে একটা চর্চা ছিল যে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ আগে অনুশীলন শুরু হতো, আমরা সেই সময়টা অনুশীলন করতে পারতাম কিন্তু এখন তো সেই সময়টাই নাই।'

'এটার জন্য আসলে সিস্টেমটাকে দোষ দেয়া যাবে না। বিপিএলের পর শুরু করতে হতো, গরম-বৃষ্টি আসবে, রোজা। অপেক্ষা করলে ঈদের পর শুরু করতে হতো তখন দেরি হয়ে যেত। এখানে আসলে কিছুই করার নেই,' যোগ করেন সুজন।

Comments

The Daily Star  | English
rally demanding ban on awami league in Dhaka

Blockade at Shahbagh demanding AL ban

The demonstration follows a sit-in that began around 10:00pm last night in front of the Chief Adviser's residence

5h ago