মানুষ কেন বলে ‘বিচার চাই না’

আশির দশকের শুরুর দিকে আতিয়া বেগম তার একমাত্র সন্তানকে হারালেন। গ্রামের প্রভাবশালী এক ব্যক্তির সন্তান আতিয়া বেগমের ছেলে রুবেলকে পানিতে ডুবিয়ে মেরেছে বলে অভিযোগ থাকলেও, এর কোনো বিচার হয়নি। কারণ রুবেল দরিদ্র ঘরের সন্তান। আর তাই রুবেলের মা আল্লাহর দরবারে বিচার চাইতে চাইতে প্রায় ১০ বছর পর মারা গেলেন।

কিশোরী মোমেনা সাহায্যকারী হিসেবে ঢাকায় কাজ করতো ২০-২৫ বছর আগে। হঠাৎ বাবা ওকে নিয়ে গেলেন বিয়ে দেবেন বলে। পরে জানা গেল, বিয়ে হওয়ার আগেই মেয়েটিকে কে বা কারা ধর্ষণের পর হত্যা করে কাদায় ডুবিয়ে রেখেছিল। গ্রামবাসী জানে আদতে কী হয়েছিল, কারা ধর্ষণের পর মেয়েটিকে মাটিচাপা দিয়েছিল। কিন্তু কেউ মুখ খোলেনি। কোনো বিচার পাননি মোমেনার বাবা। পরে তাকে বিশ্বাস করতে হয়েছে জিন বা ভূত মেয়েকে হত্যা করেছে। অনেকবার খোঁজ নিতে বলা হলেও মোমেনার পরিবার বার বার বলেছে, 'আমরা বিচার চাই না। এতে অনেক ঝামেলা।'

তাহলে এতগুলো বছর পার হয়ে আসার পরও কেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নিহত নাহিদের বাবা নাদিম হোসেন বললেন, 'কারও কাছে বিচার চাই না। বিচার চেয়ে কী হবে। কার কাছে বিচার চাইব। মামলাও করতে চাই না।'

রাজধানীর শাহজাহানপুরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে শিক্ষার্থী সামিয়া আফরীন প্রীতি নিহত হন মার্চ মাসে। তার বাবা জামাল উদ্দিনও বলেছিলেন, 'মেয়ে হত্যার বিচার চাই না। মামলা চালানোর মতো অবস্থাও নেই। আমরা নিরীহ মানুষ। বিচার চাইলে আল্লাহর কাছে চাই। তিনিই বিচার করবেন।'

একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা চালু থাকার পরেও কেন মানুষ পুলিশ, প্রশাসন, বিচার ব্যবস্থার ওপর ভরসা না রেখে শুধু আল্লাহর কাছে বিচার চাইছেন?

প্রকাশক দীপনের বাবা অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক একই কথা বলেছিলেন। তিনি সন্তান হত্যার বিচার চান না। ২০১৫ সালে নিহত হয়েছিলেন লেখক অভিজিৎ রায়। তার স্ত্রীও বলেছিলেন, 'আমিও বিচার চাই না।'

আশির দশকের শুরু থেকে ২০২২ পর্যন্ত রুবেল, মোমেনা, নাদিম, প্রীতি, দীপন ও অভিজিৎ সবার মৃত্যু এক সুতোয় গাঁথা। এদের সবার পরিবার রাষ্ট্রব্যবস্থাকে, বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। একটা সময় শোনা যেতো 'বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে'। কারণ চাইলেও বিচার পাওয়া নাও যেতে পারে। অনেক নিপীড়ন, নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়েও পাওয়া যায়নি। আর এখন বলা হচ্ছে, 'আমরা বিচার চাই না" বা 'আল্লাহর কাছে বিচার চাই'।

এই বিচার না চাওয়াটা কিন্তু অপরাধীদের নিষ্কৃতি পাওয়ার সংস্কৃতি চালু করেছে বা করবে। অপরাধী ভালোভাবেই বুঝে যাচ্ছে, যাই করি না কেন, আমার কোন বিচার হবে না। অন্যদিকে, যারা ভুক্তভোগী তারাই ভয়ের মধ্যে থাকেন। আর সাধারণ মানুষের মনে এই ভয় ও বঞ্চনা যে ক্ষোভ ও হতাশা তৈরি করছে, সেই থেকেই মানুষ বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারিয়েছেন। এই ট্রেন্ড কিন্তু ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।

আমরা সিনেমায় দেখেছি, মানুষ যখন বিচার পায় না, তখন নায়ক বা নায়িকা নিজেই বিচারের ভার হাতে তুলে নেয়। অত্যাচারীকে নিজেই শাস্তি দিতে চায়। আর যখন তারা চিত্রনাট্য অনুযায়ী অপরাধীকে শাস্তি দিতে শুরু করেন, তখন হলের দর্শক বা টিভির দর্শক সবাই হাততালি দিয়ে উঠেন।

ঠিক এই একই কারণে দেশের মানুষের অনেকেই ক্রসফায়ারের পক্ষে। তাদের ধারণা হলো, যাক বিচার তো আর হবে না, অপরাধী শাস্তিও পাবে না। কাজেই অপরাধী যদি এইভাবে মরে মরুক। যার অর্থ হলো- তাদের বিচারে আস্থা নেই। এই আস্থাহীনতা একটা সময় অরাজকর পরিস্থিতির জন্ম দেবে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ জীবনটা সিনেমা নয়।

জনসাধারণের মধ্যে আরেকটি কথা প্রচলিত আছে যে, বিচার পায় ধনী লোক। টাকা থাকলে, ক্ষমতাবান হলে ও খুঁটির জোর থাকলে মানুষ বিচার পাবে, নয়তো নয়। কথাটা মিথ্যা নয়। আমাদের দেশে দরিদ্র ও ক্ষমতাহীন মানুষ বিচার পায় না, এরকম একটা ধারণা প্রচলিত আছে। কারণ বিচার পেতে চাইলে অনেকটা সময় যেমন অপেক্ষা করতে হয়, তেমনি অনেক টাকাও খরচ হয়। অধিকাংশ পরিবারের পক্ষে এত টাকা ব্যয় করে মামলা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আর সবচেয়ে বড় কথা অপরাধী যদি ক্ষমতাবান হয়, তাহলে বিচার বা মামলাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করা তার জন্য কোনো ব্যাপারই না। তবে রাষ্ট্র বা কোনো মানবাধিকার সংগঠন মামলা চালালে কিছুটা আশা থাকে।

সিনিয়র ও আইন বিষয়ে অভিজ্ঞ সাংবাদিক জায়েদুল আহসান পিন্টু 'মানুষ কেন বিচার চায় না' সংক্রান্ত একটি লেখায় লিখেছেন, 'তার মানে কি দেশে বিচার হচ্ছে না? বিচার চেয়ে পাওয়া যাচ্ছে না? বিষয়টা কি সত্যি তাই? আমরা তো দেখছি গড়ে প্রতিদিন একজন করে মানুষের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হচ্ছে। এখনো কারাগারের কনডেম সেলে দুই হাজারেরও বেশি আসামি মৃত্যুর পরোয়ানা নিয়ে বন্দি আছে। প্রতিদিন সারাদেশে বিচারকরা শত শত রায় দিচ্ছেন। তাহলে বিচারটা হচ্ছে না বা পাচ্ছি না বলছি কেন? উত্তরটা খোঁজার চেষ্টা করা যাক। বিচার বিভাগ যে বছর নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হয় সে বছর অর্থাৎ ২০০৭ সালে দেশে বিচারাধীন মামলা ছিল ১৫ লাখের একটু বেশি। আর বর্তমানে দেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৪০ লাখের কাছাকাছি। প্রতি বছর গড়ে প্রায় ২ লাখ অনিষ্পন্ন মামলা যুক্ত হচ্ছে। এভাবে জমতে জমতে ১৫ বছরে ২৫ লাখ মামলা যুক্ত হয়ে এখন ৪০ লাখ হয়েছে।'

শুধু তাই নয়, এক গবেষণায় দেখা গেছে 'ভুক্তভোগী ও সাক্ষীকে সুরক্ষা দেওয়ার মতো কোনো আইন' বাংলাদেশে নেই। আর তাই কোনো মামলা দায়ের করার পর নির্যাতনের শিকার ব্যক্তি বা ভুক্তভোগীরা সাধারণত অসহায় হয়ে পড়েন। ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার কাছ থেকেও হুমকির সম্মুখীন হয়ে থাকেন।

এ ছাড়া, স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা ভুক্তভোগীদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তারা ভুক্তভোগীদের সহযোগিতা তো করেনই না, উপরন্তু ভুক্তভোগীদের হুমকি দিয়ে থাকেন। তাছাড়া ভুক্তভোগীরা তাদের আইনগত অধিকার সম্পর্কেও জানেন না।

বাংলাদেশে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তি এবং সাক্ষীর সুরক্ষা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ এবং এর ওপর ভিত্তি করে একটি 'ভিকটিম অ্যান্ড উইটনেস প্রটেকশন অ্যাক্ট' প্রণয়নে সহায়তা করার জন্য মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন যে গবেষণা করিয়েছিল ২০২০ সালে, সেখান থেকেই এই তথ্য জানা গেছে।

গবেষণা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীদের জন্য অর্থনৈতিক সহায়তা সবচেয়ে বেশি দরকার। কারণ অধিকাংশ ভুক্তভোগী দরিদ্র এবং দিনমজুর। কাজেই তাদের পক্ষে আদালতে উপস্থিত থাকার মতো যাতায়াত খরচ ও খাবার কিনে খাওয়ার টাকা থাকে না। ভুক্তভোগীরা সামাজিক নিরাপত্তা চান। যাতে তারা স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দ্বারা হয়রানির শিকার না হন।

কেন বাংলাদেশে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তি ও সাক্ষীর সুরক্ষা আইন দরকার? কারণ বাংলাদেশে এখন এমন কোনো আইন নেই, যা দিয়ে ভুক্তভোগী অথবা সাক্ষীকে রক্ষা করা যায়। এমনকি ভুক্তভোগী এবং সাক্ষী কী বা কারা? এ সম্বন্ধে আইনে কোনো সংজ্ঞাও নেই।

আর তাই সুপারিশমালায় বলা হয়েছে- দ্রুত ভুক্তভোগী ও সাক্ষীর জন্য আইনটি বাস্তবায়ন করা, প্রতি জেলায় ভুক্তভোগী ও সাক্ষীর জন্য অফিস প্রতিষ্ঠা করা, পুলিশ স্টেশনে ভুক্তভোগী এবং সাক্ষীর জন্য প্রটেকশন সেল গঠন করা, আর্থিক ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা, ভুক্তভোগীদের প্রতি সম্মান দেখানো এবং তাদেরকে আইন সম্পর্কে জানানো খুবই জরুরি। তাহলে হয়তো বা বিচার পাওয়ার ব্যাপারে সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরে আসতে পারে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ফারজানা রহমান বলেছেন, ভুক্তভোগী ও সাক্ষী এই শব্দ দুটির সংজ্ঞা থাকা এজন্যই উচিৎ, যেন বোঝা যায়, সমাজের ঠিক এই মানুষগুলোই সুরক্ষা সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া, যে মানুষগুলো রাষ্ট্রের কাছ থেকে সুরক্ষা সুবিধা সেভাবে পান না, যেমন: ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, হিজড়া সম্প্রদায়, ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং বিশেষ করে দলিত হরিজন, তাদের সরাসরি চিহ্নিত করা যাবে।

গবেষণা চলাকালে দেখা গেছে, বর্তমানে বাংলাদেশের আইনে ভুক্তভোগী ও সাক্ষীর একটা পরোক্ষ পরিচিতি আছে এবং দেশের নীতিনির্ধারকরা শত বছর ধরে এইসব আইনকেই ভিকটিম প্রটেকশন অ্যাক্ট বলে মনে করে আসছেন। এগুলো সম্পূর্ণভাবে সাক্ষী ও ভুক্তভোগীকে সুরক্ষা দেয় না। অন্যদিকে, দেশের সাধারণ আইনে অপরাধীকে এমন সব পদ্ধতিগত সুবিধা দিয়ে থাকে, যা তাদের হাতকে আরও শক্তিশালী করে।

দলিত-হরিজন জনগোষ্ঠী, হিজড়া, যৌনকর্মী, প্রতিবন্ধী মানুষ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং যেসব নারী ও শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে, তারা সবসময় এই সুরক্ষা আইনের অভাব বোধ করেন। ধর্ষণ, মানবপাচার, মাদক চোরাচালান, সন্ত্রাস, মানবতাবিরোধী অপরাধ, এসব মামলার যারা ভুক্তভোগী ও সাক্ষী তারাই সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন। এসব মামলার ভুক্তভোগী এবং সাক্ষী আদালত বা পুলিশের কাছে গিয়ে স্বীকারোক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে খুবই অনাগ্রহ প্রকাশ করেন শুধু তাদের সুরক্ষার কোনো আইন নেই বলে।

সাক্ষীকে বলা হয় বিচার ব্যবস্থার কান ও চোখ। আইনকে সঠিক পথে পরিচালনার জন্য বিচারক, পুলিশ এবং তদন্তকারী দলের কাছে ভয়শূন্যভাবে সাক্ষ্য দেওয়াটা খুব অপরিহার্য। দেখা যায়, শুধু সাক্ষীকে যথাযথভাবে সুরক্ষার ব্যবস্থা দিতে না পারার ফলে তারা নিজেদের ও পরিবারের জানমাল বাঁচানোর জন্য আসামী পক্ষে চলে যান। কারণ তারা দেখেন যে, তাদের রক্ষা করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আইনগত দায়িত্ববোধ থাকে না।

আবার এও দেখা গেছে, দায়েরকৃত মামলায় বিচার শুরু হওয়ার পরপরই নানান কায়দায় বা আইনের ফাঁক গলে অপরাধীরা বেরিয়ে আসেন। পরে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ঘুরে বেড়ান। এমনকি তাদের অনেককে পুনরায় গ্রেপ্তারও করা হয় না। উপরন্তু অধিকাংশ আসামি জামিনে মুক্ত হয়ে মামলাকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে থাকেন।

আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দায়েরকৃত ২৫টি ধর্ষণ মামলার মধ্যে গ্রেপ্তারের পর ২৪ ঘণ্টা হতে ১৫ দিনের মধ্যেই অভিযুক্ত ২৫ জন আসামি জামিন পেয়েছেন। ২০২১ সালে এসে দেখা গেছে, ধর্ষণ মামলায় ২০ জন অভিযুক্ত জামিনে মুক্ত অবস্থায় রয়েছেন, ৩ অভিযুক্ত কারাগারে রয়েছেন এবং ২ জন প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন, এমনকি তাদের গ্রেপ্তারও করা হয়নি।

আর বিচার না পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মামলার দীর্ঘসূত্রিতা। এ প্রসঙ্গে বহুল প্রচলিত একটি গল্প দিয়ে লেখাটি শেষ করি। বিচারক কাঠগড়ায় দাঁড়ানো এক বৃদ্ধ আসামিকে তিরস্কার করে বলছেন, 'আপনার মতো সিনিয়র সিটিজেন এক তরুণীর দিকে কুদৃষ্টি দিলেন কী করে? সমাজ আপনাদের কাছ থেকে কী শিখবে? তরুণ বয়স হলেও বুঝতাম বয়সের দোষ! জবাবে ওই বৃদ্ধ বলছেন, মাই লর্ড, ঘটনাটা ৩ যুগ আগের, তখন আমার কাঁচা বয়সই ছিল, ওই যে দেখেন- মামলার বাদী তার নাতি-নাতনি নিয়ে শুনানিতে অংশ নিতে এসেছেন।'

শাহানা হুদা রঞ্জনা: সিনিয়র কোঅর্ডিনেটর, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)

Comments

The Daily Star  | English

Life insurers mired in irregularities

One-fourth of the life insurance firms in the country are plagued with financial irregularities and mismanagement that have put the entire industry in danger.

6h ago