‘মৃতদের স্মরণ করো, জীবিতদের জন্য লড়াই করো’
রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি।
আজ শুক্রবার দুপুর ৩টা থেকে রানা প্লাজার সামনে প্রদর্শনী শুরু হয়।
আজকের এ প্রদর্শনিতে তাসলিমা আখাতর, শুভ্রকান্তি দাস, আবির আব্দুল্লাহ সহ ৬ জন আলোকচিত্রীর ছবি প্রদর্শিত হয়। এছাড়া রানা প্লাজার ভুক্তভোগী পরিবারের ছবি ও বিভিন্ন উপাদানও প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করেন রানা প্লাজায় নিহত শ্রমিক ফজলে রাব্বির মা রাহেলা খাতুন।
উদ্বোধনী সভায় বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার বলেন, 'গত ৯ বছর ধরে রানা প্লাজার আহত, নিহত শ্রমিক ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ক্ষতিপূরণ আইন বদল, সোহেল রানাসহ সকল দোষীদের শাস্তির দাবিতে ধারাবাহিকভাবে প্রায় প্রতি মাসের ২৪ তারিখ বা এর আশপাশের তারিখে কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। করোনা মহামারির কারণে মাসিক কর্মসূচিতে ছেদ পড়লেও রানা প্লাজার শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা তাদের প্রতিজ্ঞা থেকে সরে আসেননি। দোষীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।'
তিনি আরও বলেন, 'এই রাষ্ট্র এবং মালিকরা চায় রানা প্লাজার স্মৃতি মানুষ ভুলে যাক। শ্রমিকের ওপর নির্মম নির্যাতন এবং অবিচারের স্মৃতি বিস্মৃত হোক। কিন্তু আমরা তা হতে দেবো না। হাজার শ্রমিকের প্রাণ ও স্বপ্ন প্রতিদিন প্রতিক্ষণ লালন করার ভেতর দিয়েই এদেশের শ্রমিকরা পরিবর্তনের সংগ্রামকে এগিয়ে নেবে।'
বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইনজিডি-র গবেষক মাহিন সুলতানা, গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক জুলহানাইন বাবু, অর্থসম্পাদক প্রবীর সাহা, আশুলিয়ার সভাপ্রধান ও কেন্দ্রীয় সদস্য বাবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাক জিয়াদুল ইসলাম, রানা প্লাজার আহত শ্রমিক রুপালী আক্তার, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং রানা প্লাজার ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
প্রদর্শনী শেষে নিহত শ্রমিকদের স্মৃতির প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এবং ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এছাড়া আজ শুক্রবার রাত ৮ টায় বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির ফেসবুক পেজ থেকে 'রানা প্লাজা ও তাজরিনের অভিজ্ঞতা: ক্ষতিপূরণের আইনি লড়াই প্রসঙ্গ' শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
Comments