ঈদ কেনাকাটায় কাঙ্ক্ষিত বিক্রি নেই পাবনায়

ক্রেতাহীন ফাঁকা মার্কেট। ছবি: আহমেদ হুমায়ুন কবির তপু/স্টার

করোনার কারণে গত দুই বছর ঈদের বেচাবিক্রি করতে পারেননি পাবনার ব্যবসায়ীরা। এ বছর নানা পণ্য সাজিয়ে বসলেও কাঙ্ক্ষিত বিক্রি নেই বলে জানিয়েছেন তারা।

নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমূখী দাম, আর কাঁচামালের বাড়তি দামে কাপড়ের দাম বাড়ায় অনেকেই ঈদ বাজারের লিস্ট ছোট করায় ঈদের কাঙ্ক্ষিত বেচা কেনা হচ্ছে না বলে মনে করেন তারা।

পাবনার এ আর প্লাজা, নিউ মার্কেট, আলহাজ মার্কেট, সেভেন স্টার মার্কেট, খান বাহাদুর শপিং মলসহ বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে দোকানে নানা রকমের পণ্য আছে, লোক সমাগমও ভালো তবে বেচাবিক্রি কম।

পাবনা নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী ইমদাদুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গত দুই বছরের ঈদের ব্যবসা করতে না পারায় এ বছর ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে দোকানে অনেক নতুন পণ্য রাখা হয়েছে। তবে ২০ রমজান পার হলেও এখনো কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা না থাকায় ২৫ শতাংশ পণ্যও বিক্রি হয়নি। এ অবস্থা চলতে থাকলে ঈদের আগে ৫০ শতাংশ পণ্য বিক্রি হবে কি না তা নিয়ে সংশয় আছে।

ক্রেতাহীন ফাঁকা মার্কেট। ছবি: আহমেদ হুমায়ুন কবির তপু/স্টার

ইমদাদুল বলেন, বাজারে মানুষজন আসছেন, ক্রেতারা দোকানে দামাদামি করছেন তবে কাপড়ের দাম কিছুটা বাড়ায় অনেকেই না কিনে ফিরে যাচ্ছেন।

নূরপুরের বাসিন্দা জুবায়ের হোসেন জানান, পরিবারে স্ত্রী, সন্তান, বাবা ও ছোট ভাই রয়েছেন। দুই বার ঈদের কেনাকাটার জন্য মার্কেটে এসেও কিছু কিনতে পারেননি। দামের সঙ্গে সঙ্গতি নেই সবার জন্য কেনার। তাই হয়তো শুধু বাচ্চা ও বাবার জন্য কাপড় কিনবেন এবার।

কথা হয় শাড়ি কিনতে আসা শায়রা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, দুটি শাড়ি পছন্দ করে কিনতে চাইলেও দোকানদার যে দাম হেঁকেছেন তাতে অন্যান্য কেনাকাটা করতে পারবেন না তাই একটি শাড়ি কিনেছেন।

কাপড় ব্যবসায়ী ইমদাদুল জানান, রঙ, সুতার দাম আকাশচুম্বি হওয়ায় কাপড়ের পাইকারি বাজারে প্রতিটি কাপরের দাম ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ফলে চড়া দামে কিনে চড়া দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের।

নিউ মার্কেট এলাকার আরেক কাপড় ব্যবসায়ী মো. আলাউদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, অন্যান্য বছর ঈদের বাজারে প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকার বেচাকেনা হলেও এ বছর ৩০-৪০ হাজার টাকার বেশি বিক্রি হচ্ছে না।

আলাউদ্দিন বলেন, দ্রব্যমূলের দাম বৃদ্ধির কারণে মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের বেশিরভাগই তাদের ঈদের বাজারের লিস্ট ছোট করে ফেলায় কাঙ্ক্ষিত ব্যবসা হচ্ছে না।

পাবনা শহরের খান বাহাদুর শপিং মলের কসমেটিকস ব্যবসায়ী আশারাফুল বারী বলেন, অন্যান্য বছর নতুন পোশাকের সাথে কসমেটিকস পণ্য কিনলেও এ বছর তেমন বেচাবিক্রি নেই।

পাবনা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক এ বি এম ফজলুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, করনার কারণে গত দুই বছর ব্যবসায়ীরা কাঙ্ক্ষিত ব্যবসা করতে না পারায় অনেকেই এ ঈদে লোকসানের কিছুটা পুষিয়ে নেয়ার আশা করেছিল। তবে এ বছর ঈদের কাঙ্ক্ষিত ব্যবসা করতে না পারায় অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েছে। তবে ঈদের এখনও বেশ কয়েকদিন বাকি আছে, আশা করছি ঈদের শেষ মুহূর্তে বেচাকেনা বাড়বে।

Comments

The Daily Star  | English
Khaleda Zia calls for unity

‘Seize the moment to anchor democracy’

Urging people to remain united, BNP Chairperson Khaleda Zia has said the country must quickly seize the opportunity to institutionalise the democratic system.

6h ago