গ্রামীণফোনের ২৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন

গ্রামীণফোনের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) ২০২১ সালের জন্য ২৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের অনুমোদন দিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির ২৫তম বার্ষিক এজিএম ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়।

এজিএমে পরিচালনা পর্ষদ ১২৫ শতাংশ হারে, অর্থাৎ ১০ টাকার প্রতি শেয়ারে ১২ টাকা ৫০ পয়সা চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। পূর্ববর্তী ১২৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশের সঙ্গে নতুন ঘোষিত ১২৫ শতাংশ যোগ হয়ে মোট ২৫০ শতাংশে দাঁড়ালো। অর্থাৎ, ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারপ্রতি ২৫ টাকা করে লভ্যাংশ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। যা ২০২১ সালে কর পরবর্তী মুনাফার ৯৮ দশমিক ৯১ শতাংশ।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এ বছর ধারাবাহিকভাবে তৃতীয়বারের মতো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা পরিচালনা করে গ্রামীণফোন।

এজিএমে গ্রামীণফোনের বোর্ড চেয়ারম্যান ইয়র্গেন সি. অ্যারেন্টজ রোস্ট্রাপ বলেন, '২০২১ সাল আমাদের জন্য বেশ শিক্ষণীয় বছর ছিল। পুরো বছর জুড়েই কোভিড-১৯ এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট উদ্ভূত নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের টিম বেশ দৃঢ় ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল, তাই গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান কানেক্টিভিটি সল্যুশনের চাহিদা পূরণে সক্ষম হয়েছে। প্রতিকূল সময় সত্ত্বেও টেকনোলজি সার্ভিস প্রোভাইডার ও ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার হিসেবে আমরা বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ, পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে উদ্ভাবন এবং কমিউনিটিকে সহায়তা করার জন্য প্রয়োজনীয় নানা উদ্যোগ নিয়েছি।'

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, 'নেটওয়ার্ক ও অভিজ্ঞতার মান বৃদ্ধি এবং গ্রাহক সংখ্যা ও সেবার ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে ২০২১ সালে প্রবৃদ্ধির গতিশীলতাসহ আমরা ইতিবাচক অর্থনৈতিক ফলাফল অর্জন করতে পেরেছি। গ্রাহক, অংশীজন ও শেয়ারহোল্ডারদের জীবনে ভ্যালু তৈরির মাধ্যমে আগামী দিনগুলোতে সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার হিসেবে কাজ করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'

টেলিনর গ্রুপের অঙ্গসংগঠন গ্রামীণফোন ৮ কোটিও বেশি গ্রাহক রয়েছে। ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করার পর দেশব্যাপী সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে প্রতিষ্ঠানটি। গ্রামীণফোন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত।

Comments

The Daily Star  | English

AL govt’s secret surveillance state

From snooping devices carried in backpacks to locate people through their phones to a massive infrastructure that can intercept even end-to-end encryption from a central command centre, the Awami League government had been on an increasingly aggressive trajectory towards building a powerful surveillance state. 

8h ago