রোহিতের জন্মদিনে অবশেষে জয়ের দেখা পেল মুম্বাই
প্রথম আট ম্যাচের সবগুলোতেই হেরে হতাশায় ডুবছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আইপিএলের সফলতম দলটি কোনভাবেই খুঁজে পাচ্ছিল না দিশা। অবশেষে অধিনায়ক রোহিত শর্মার জন্মদিনে সূর্যকুমার যাদব, টিম ডেভিডদের নৈপুণ্যে রাজস্থান রয়্যালসকে হারালো মুম্বাই, দল জিতলেও নিজের জন্মদিনে ব্যাট হাতে মলিন ছিলেন রোহিত।
শনিবার ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে রাজস্থানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে মুম্বাই। আগে ব্যাটিং পেয়ে রাজস্থানের করা ১৫৮ রান ৪ বল পেরিয়ে জিতে যায় রোহিত শর্মার দল।
কিছুটা মন্থর উইকেটে দলের জয়ের ভিত গড়ে দেওয়ার নায়ক সূর্যকুমার করেন ৩৯ বলে ৫১ রান। শেষ দিকে ডেভিড ৯ বলে ২০ করে কঠিন পরিস্থিতিকে করে দেন সহজ।
১৫৯ রান তাড়ায় তৃতীয় ওভারেই ফিরে যান রোহিত। জন্মদিনে রবীচন্দ্রন অশ্বিনের শিকার হয়ে ৫ বলে ২ রান করেন মুম্বাই কাপ্তান।
ইশান কিশান ছিলেন তেতে। তার ব্যাটে আশার আলো দেখছিল দল। এই তরুণ ফিরেছেন থিতু হয়ে। ট্রেন্ট বোল্টের বলে ছক্কার নেশায় টপ এজ হয়ে উঁচু ক্যাচ তুলে দেন কিপারের হাতে।
এরপর তিলক বর্মাকে নিয়ে খেলার নাটাই নিয়ে নেন সূর্যকুমার। তৃতীয় উইকেটে ৫৬ বলে আসে ৮১ রানের জুটি। যখন মনে হচ্ছিল এই জুটিই ম্যাচ শেষ করে দেবে তখনই জোড়া ধাক্কা। যুজভেন্দ্র চেহেলের শিকার হন সূর্যকুমার। ৩০ বলে ৩৫ করা তিলককে ফেরান প্রসিদ কৃষ্ণ।
চাপে পড়া দল কাইরন পোলার্ডের মন্থর ব্যাটিংয়ে পথ হারাতে পারত। তা হতে দেননি টিম ডেভিড। তার ৯ বলে ২০ রানের ইনিংস রান তাড়ার কাজ করে দেয় সহজ। শেষ ওভারের প্রথম বলে পোলার্ড আউট হলে পরের বলে এসে ছক্কায় কাজ সেরে ফেলেন ড্যানিয়েল স্যামস।
এর আগে রাজস্থানকে বড় পুঁজি আনতে দেয়নি তাদের অদ্ভুত অ্যাপ্রোচ। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা জস বাটলার ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে।
দেবদূত পাড়িকাল দ্রুত ফেরার পর সঞ্জু স্যামসন ঝড়ের আভাস দিয়েই নিভেছেন। বাটলার উড়তে পারছিলেন না। রানের চাকা হয়ে যায় শ্লথ।
শেষ দিকে হৃতিক সুকেনকে টানা চার ছক্কা মারার পর ভদ্রস্থ হয় বাটলারের স্ট্রাইকরেট। তিনি ফেরেন ৪২ বলে ৫৭ করেন। আরেক বিদেশি শেমরন হেটমায়ার করেছেন চরম হতাশ। শেষ পর্যন্ত ক্রিজে পড়ে তিনি ১৪ বলে করেছেন ৬ রান। অশ্বিন নেমে ৯ বলে ২১ না করলে দেড়শো পার হওয়া হতো না রাজস্থানের।
শেষ পর্যন্ত ১৫৮ রানের পুঁজিতেও লাভ হয়নি। এই জয়ের পরও মুম্বাইর অবস্থানে কোন বদল হচ্ছে না। তারা থাকছে তলানিতেই। হারলেও ১২ পয়েন্ট নিয়ে রাজস্থান টিকে আছে দুইয়ে।
Comments