পাঁচ হারের পর কলকাতাকে জেতালেন নিতিশ-রিংকু

nitish rana & rinku singh
নিতিশ রানা ও রিংকু সিং। ছবি- আইপিএল ওয়েবসাইট

টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে পরের রাউন্ডে যাওয়ার আশা ফিকে হয়ে গিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে অনেকটা বাঁচা-মরার লড়াইয়ে নেমে ঘুরে দাঁড়াল তারা। এদিনও হার ছিল শঙ্কায়, তবে কঠিন পরিস্থিতি থেকে দাপট দেখিয়ে দলকে জিতিয়েছেন নিতিশ রানা ও রিঙ্কু সিং।

সোমবার মুম্বাইর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আইপিএলের ম্যাচে রাজস্থানকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে কলকাতা। কিছুটা মন্থর উইকেটে আগে ব্যাটিং পেয়ে সঞ্জু স্যামসনের ফিফটিতে ১৫২ রান জড়ো করে রাজস্থান। ৫ বল আগে ওই রান পেরিয়ে যায় শ্রেয়াস আইয়ারের দল।

দলকে জিতিয়ে ৩৭ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন নিতিশ, রিঙ্কু ২৩ বলে করেন ৪২।

১৫৩ রানের লক্ষ্যে শুরুটা একদম ভাল হয়নি কলকাতার। বাবা ইন্দ্রজিত আর অ্যারন ফিঞ্চ ঝড় তুলতে পারছিলেন না। চতুর্থ ওভারে দলের ১৬ রানে কুলদিপ সেনের বলে বোল্ড হন ফিঞ্চ। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে  ১৬ বলে ১৫ করে ফেরেন ইন্দ্রজিত।

অধিনায়ক শ্রেয়াস নেমেও দ্রুত রান আনতে পারছিলেন না। তবে তৃতীয় উইকেটে নিতিশের সঙ্গে তার ৬০ রানের জুটি দলকে রাখে খেলায়। ট্রেন্ট বোল্টের বলে ৩২ বলে ৩৪ করা শ্রেয়াসের বিদায় খেলায় ফেরাচ্ছিল রাজস্থানকে।

কিন্তু রিঙ্কু নেমে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে সমীকরণ করে দেন সহজ। শেষ ৪ ওভারে ৩৯ রানও এক সময় হয়ে যায় মামুলি।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং পেয়ে দেবদূত পাড়িকালকে শুরুতেই হারায় রাজস্থান। ছন্দে থাকা জস বাটলার ছিলেন জড়সড়। অনেকগুলো ডট বল খেলে নিজের উপর চাপ বাড়ান তিনি।  ২৫ বল খুইয়ে বাটলার ফেরেন ২২ রান করে।

করুন নায়ারকে নিয়ে পরে রান বাড়ান অধিনায়ক সঞ্জু। নায়ার ১৩ করে বিদায় নিলে রিয়ান পরাগ এসে ১২ বলে করেন যান ১৯ রান। এক প্রান্ত আগলে রেখে সঞ্জু ৩৮ তুলে নেন ফিফটি। ১৮তম ওভারে ছক্কা মারতে গিয়ে ৪৯ বলে তিনি থামেন ৫৪ করে।

শেষ দিকে শেমরন হেটমায়ার ১৩ বলে ২৭ করলে রাজস্থান ছাড়িয়ে যায় দেড়শো রান। উইকেট মন্থর হলেও ওই রান নিয়ে লড়াই করা আর হয়নি তাদের।

এই ম্যাচ হারলেও ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনেই থাকল রাজস্থান। ১০ ম্যাচে চতুর্থ জয় নিয়ে টেবিলের সাতে উঠে এল কলকাতা।

Comments

The Daily Star  | English

Rain likely over four divisions

Weather may remain mainly dry with temporary partly cloudy sky elsewhere over the country, according to a Met Office bulletin in Dhaka.

57m ago