কক্সবাজারে বলীখেলায় যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন লিটন ও নুর মোহাম্মদ

লিটন বিশ্বাস ও নুর মোহাম্মদ। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী ডিসি সাহেবের ২ দিনব্যাপী বলীখেলায় ঢাকার লিটন বিশ্বাস ও কক্সবাজারের নুর মোহাম্মদ বলী যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।

আজ শনিবার বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠিত ৬৭তম আসরে তারা চ্যাম্পিয়ন হন। নারীদের খেলায় মরিয়ম বেগমকে পরাজিত করে নারী কুস্তিগির বাংলাদেশ রেসলিং ফেডারেশনের প্রীতি রায় বিজয়ী হন।

বলী খেলার আয়োজক কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দীন দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

এবার চট্টগ্রামের জব্বারের বলীখেলার চ্যাম্পিয়ন জীবন বলী আজ কক্সবাজারের ডিসি সাহেবের বলীখেলায় অংশ নিলেও বিজয়ী হতে পারেননি। যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হওয়া লিটন বিশ্বাস ঢাকার কুস্তি ফেডারেশনের খেলোয়াড় এবং নুর মোহাম্মদের বাড়ি কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলায়।

খেলায় লিটন ও নুর মোহাম্মদ কেউ কাউকে পরাজিত করতে না পারায় বিচারকরা ২ জনকেই যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেন।

গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় কক্সবাজার বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে বলী খেলার উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাহ) আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল। বেলুন উড়িয়ে বলীখেলা ও বৈশাখীমেলা উদ্বোধনের পর খেলায় অংশ নেওয়া বলীদের সঙ্গে পরিচিত হন অতিথিরা।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে ২ দিনব্যাপী বলী খেলা ও বৈশাখী মেলা সমাপ্ত হয়। সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব, কক্সবাজারের সন্তান হেলালুদ্দীন আহমদ। 

কক্সবাজারের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের এক অনন্য অংশ ডিসি সাহেবের বলী খেলা। ১৯৫৬ সালে কক্সবাজার একটি প্রশাসনিক মহকুমা থাকাবস্থায় 'এসডিও সাহেবের বলী খেলা' নামে এ খেলার প্রবর্তন হয়। ১৯৮৪ সালে কক্সবাজার জেলায় উন্নীত হওয়ার পর 'এসডিও সাহেবের বলী খেলা' থেকে 'ডিসি সাহেবের বলী খেলা' নামকরণ করা হয়।

দুদিনে ৩০০ জন বলী খেলায় অংশগ্রহণ করে। এ বছর বলী খেলার অন্যতম আকর্ষণ ছিল জাতীয় কুস্তি দলের দুইজন নারী খেলোয়াড়ের অংশ গ্রহণ।  

Comments

The Daily Star  | English
problems in filing complaints in police stations

No scope to verify authenticity when cases are filed: IGP

Instructions have already been issued to ensure that no one is arrested in a harassing manner, he says

1h ago