জরুরি অবস্থা জারির পর শান্ত কলম্বো

শ্রীলঙ্কায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনে জরুরি অবস্থা জারির পর দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী কলম্বোর সড়কগুলো শনিবার শান্ত ছিল।
দেশব্যাপী ধর্মঘটের সময় শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে একটি বন্ধ নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন একজন কর্মী। রয়টার্স ফাইল ফটো

শ্রীলঙ্কায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনে জরুরি অবস্থা জারির পর দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী কলম্বোর সড়কগুলো শনিবার শান্ত ছিল।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বশেষ জরুরি প্রবিধানের বিবরণ এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে, পূর্বের জরুরি আইনে প্রেসিডেন্টকে সামরিক বাহিনী মোতায়েন, কোনো অভিযোগ ছাড়াই আটক এবং বিক্ষোভ ভেঙে দিতে আরও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল।

দেশটির প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জনসাধারণের নিরাপত্তার স্বার্থে, জনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং মানুষের জীবনের জন্য অপরিহার্য সরবরাহ ও পরিষেবা রক্ষণাবেক্ষণে প্রেসিডেন্ট এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

রয়টার্স বলছে, জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর বিশৃঙ্খলার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। কলম্বোর একটি প্রধান এলাকা গ্যাল ফেসে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এই স্থানটি বিক্ষোভ ও মিছিলের প্রধান জায়গা ছিল। জরুরি অবস্থা সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট সচিবালয়ের বাইরে শহরের প্রধান বিক্ষোভস্থলে প্রায় ১০০ জনকে সরকারবিরোধী বক্তৃতা শুনতে জড় হতে দেখা যায়। তখন পাশ দিয়ে যাওয়া গাড়ির চালকরাও তাদের সমর্থনে হর্ন বাজান।

প্রায় এক মাস ধরে সেখানে বিক্ষোভরত শিক্ষক ওয়াহিদা লাফির রয়টার্সকে বলেন, এই জরুরি অবস্থা বিক্ষোভ থামাতে পারবে না। সরকার এটা চাপিয়ে দিয়েছে, তাদের পদত্যাগ করা উচিত।

দেশটির প্রেসিডেন্ট এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো জরুরি আইন ঘোষণা করায় শ্রীলঙ্কার বিরোধী দল এবং কয়েকটি পশ্চিমা দেশ নিন্দা জানিয়েছে।

শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জুলি চুং টুইট করেন, আরেকটি জরুরি অবস্থা নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। শান্তিপূর্ণ নাগরিকদের কথা শোনা দরকার।

আমদানি করা খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের ঘাটতির মধ্যে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষিপ্তভাবে সহিংস সরকারবিরোধী বিক্ষোভে শুক্রবার পার্লামেন্টের বাইরে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীকে লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ।

ইউনিসেফ জানিয়েছে, কাঁদানে গ্যাসে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে শিশুরাও আছে। বিষয়টি উদ্বেগজনক।

ইউনিসেফের বিবৃতিতে বলা হয়, প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ককে অবশ্যই দায়িত্ববোধের সঙ্গে কাজ করতে হবে। বিক্ষোভের সময়সহ যে কোনো ধরনের সহিংসতা থেকে শিশুদের বিরত রাখতে হবে।

আইএমএফের মিশন প্রধান মাসাহিরো নোজাকির এক বিবৃতিতে শনিবার জানিয়েছেন, সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে শ্রীলঙ্কার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে আইএমএফ।

Comments

The Daily Star  | English

Will there be any respite from inflation?

To many, especially salaried and fixed-income individuals, this means they will have no option but to find ways to cut expenditures to bear increased electricity bills.

5h ago